দ্যা মেইল বিডি / খবর সবসময়

; ;

দ্যা মেইল বিডি ডট কম

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিবন্ধিত অনলাইন পত্রিকা, নিবন্ধন নং- ১১

আমির আলী অভয়নগর যশোর প্রতিনিধি:-

যশোরের দুঃখ হিসেবে পরিচিত ভবদহ এলাকা পরিদর্শন করলেন তিন উপদেষ্টা। মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ভবদহ স্লুইসগেট ২১ ভেন্ট এলাকায় যান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, পরিবেশ বন ও জলবালয়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো: জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিন উপদেষ্টার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ছাড়াও সেনাবাহিনীর যশোর এরিয়া কমান্ডার ও জিওসি যশোরের অভয়নগর উপজেলার কৃতি সন্তান মেজর জেনারেল জে এম ইমদাদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শন শেষে ভবদহ কলেজ মাঠে ব্রিফ করেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, গতবারের মত এবার বর্ষায় যাতে জলাবদ্ধতা না হয়, সেজন্য সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ভবদহ এলাকার নদী খনন কাজ শুরু হবে। জলাবদ্ধতা নিরসন যেসব সেচ পাম্প কাজ করছে। সেগুলোর বিদ্যুৎ বিল ইতোমধ্যে ৪৬ শতাংশ কমিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ। এ এলাকার জন্য কৃষি ব্যাংকের ঋণের সুদ মওকুফের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভবদহ জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ২০০৫ সালে ভবদহ সমস্যার সমাধান করা সহজ ছিল।

কিন্তু সে সময় তৎকালীন সরকার সদিচ্ছা দেখায়নি। বর্তমান সরকার এ সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধানের জন্য ইতোমধ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি শুরু করেছে। পক্ষ-বিপক্ষ সবার কাছ থেকে এ ব্যাপারে মতামত নেওয়া হবে। এরপর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে যশোরের অভয়নগরের নওয়াপাড়া সরকারি কলেজ মাঠে হেলিকপ্টারযোগে আসেন তিন উপদেষ্টা। পরে ধান খেত পরিদর্শন করেন তারা। জানা গেছে, যশোরের অভয়নগর, মনিরামপুর ও কেশবপুর এবং খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার অংশবিশেষ নিয়ে ভবদহ অঞ্চল।

পলি পড়ে এ অঞ্চলের পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম মুক্তেশ্বরী, টেকা, শ্রী ও হরি নদী নাব্যতা হারিয়েছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে নদী দিয়ে পানি নামতে পারে না। বর্ষায় জলাবদ্ধতা খেতের ফসল থেকে শুরু করে ঘেরের মাছ সবই কেড়ে নেয়। ভবদহের জলাবদ্ধতার কারণে দক্ষিণ-পশ্চিমের তিন জেলায়( যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা) পরিবেশ বিপর্যয়, বর্ষা কালে বন্য জলাবদ্ধতার জেরে এ অঞ্চলের চার লক্ষাধিক মানুষের ঠাঁই হয়ে মহাসড়কের ধারে বা স্কুল কিংবা আশ্রয়কেন্দ্রে।

বছরের পর বছর পানি জমে থাকার ফলে যশোর-খুলনা ও সাতক্ষীরার ৭টি উপজেলার তিনশত গ্রামের মানুষ ভুক্তভোগী । এসব গ্রামে অন্তত ৬/৭ লক্ষ মানুষ অর্ধাহারে-অনাহারে দুর্বিসহ জীবন যাপন করতে হয়। এছাড়া ঘরবাড়ি ফসলের ক্ষতিসহ মরে যায় নানা ধরনের ফলজ বৃক্ষ। বিগত চার দশকে ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় ৬৫০ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলেও স্থায়ী সমাধান হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, বিগত সরকারগুলোর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তারা প্রকল্পের সিংহভাগ অর্থ লুটপাট করেছে। এলাকা তথা অভয়নগর বাসির দাবি দ্রুত এই জলাবদ্ধতার একটু স্থায়ী সমাধান।

Share.
Leave A Reply

মোঃ আব্দুল আওয়াল হিমেল
প্রকাশক ও সম্পাদক 
দ্যা মেইল বিডি ডট কম
মোবাইল: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
ইমেইল: themailbdnews@gmail.com
ঠিকানা: ১০২/ক, রোড নং-০৪, পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭

নিউজরুম: +৮৮০ ১৩১৪-৫২৪৭৪৯
জরুরী প্রয়োজন অথবা টেকনিক্যাল সমস্যা: +৮৮০ ১৮৩৩-৩৭৫১৩৩

© 2025 Themailbd.com. Designed and developed by Saizul Amin.
Exit mobile version