নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার পূর্বধলায় মাহফুজা আক্তার মনিকা (২০) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুকে ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গৃহবধূর মৃতদেহ শশুর বাড়ির বসতঘর থেকে করে থানা পুলিশ।
মৃত গৃহবধূ পূর্বধলার জারিয়া ইউনিয়নের বারহা পশ্চিমপাড়া গ্রামের মো. সুমন মিয়ার স্ত্রী। নিহতের স্বামী সুমন মিয়া ময়মনসিংহ ভালুকায় মাস্টারবাড়ি এলাকায় এনভয় টেক্সটাইল কারখানায় চাকরি করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ এপ্রিল স্কয়ার মাস্টার বাড়ি এলাকায় একটি ক্লিনিকে মনিকা-সুমন দম্পতির সিজারের মাধ্যমে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। ১৯ এপ্রিল মনিকার স্বামী সুমন মিয়া মানিকার বাবা মায়ের সাথে রাগারাগি করে স্ত্রী-সন্তানকে নিজের বাড়িতে চলে আসেন। সন্তান ও স্ত্রীকে রেখে স্বামী সুমন মিয়া ওই দিনেই ভালুকা মাস্টার বাড়িতে চলে যান। মনিকার সাথে তার শাশুড়ি কবিতা বেগম ও ননদ স্বর্ণা তারা তিনজন এক রুমে থাকতেন।
গত মঙ্গলবার রাত অনুমান ১২টার দিকে বাচ্চাটি কান্নাকাটি করলে মনিকাকে তার শাশুড়ি ডাক দিলে নাড়াচাড়া না করতে দেখে শাশুড়ি ও ননদের ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। মনিকাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান প্রতিবেশিরা। মৃতের স্বামী ও তার বাবা মাকে ফোনে জানানো হয়। পরে গৃহবধূর বাবা-মা এসে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে।
পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ নূরুল আলম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ গৃহবধূর ঘটনাস্থলে যায়। মৃতের গলার ডানপাশে ও তোতনির মাঝে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য গৃহবধূর লাশ নেত্রকোনা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে এ ঘটনায় কেউ এখানো অভিযোগ করেনি এবং থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।