নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় বলাইশিমুল ইউনিয়নের উলুহাটি (মধ্যপাড়া) গ্রামে অংশীদারী জমি বিক্রিকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত নয়জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর থাকায় তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেকে) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) পর্যন্ত মমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহতরা হলেন- নজরুল ইসলাম (৫৬), নাসরিন আক্তার (২৫), হ্যাপি আক্তার (৩৫), রফিকুল ইসলাম (৪০) ও সাইকুল (৩০)। তাদের চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং অন্য আহতরা নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
এরআগে গত শুক্রবার সকালের দিকে উপজেলার উলুহাটি (মধ্যপাড়া) গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উলুহাটি গ্রামের কামরুল ইসলাম তার অংশীদারী জমি বি.আর.এস. খতিয়ানভুক্তভাবে বিক্রি করেন মৃত বারেক মিয়ার ছেলে জসিম উদ্দিন গং এর কাছে। জমি ক্রয়ের পর জসিম উদ্দিন ও তার অংশীজনরা সেখানে ঘর নির্মাণ করলে প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এসময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে এবং ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
আহত নজরুল ইসলামের ভাই জসিম উদ্দিন জানান, “আমরা গরিব মানুষ। বহু কষ্টে এই জমি কিনে ঘর নির্মাণ করছিলাম। হঠাৎ আবু সাদেক, খোকন, মুকুল ও ফয়সাল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে আমাদের বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করে এবং আমার ভাইসহ কয়েকজনকে গুরুতর আহত করে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”
অভিযুক্ত খোকন মিয়ার স্ত্রী মোমেনা আক্তার দাবি করেন, এই জমি আমাদের মামা শ্বশুরের। আমরা এর ওয়ারিশ। আমাদের না জানিয়ে জমি বিক্রি করা হয়েছে। যা মেনে নেওয়া যায় না।
অন্যদিকে, জমি ক্রয়কারী পক্ষের সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, “আমরা জায়গাটি আইনীভাবে কিনেছি। দলিল হয়েছে, ভূমি অফিস দলিল রেজিস্ট্রি করেছে। যদি কোর্টে মামলা চলমান থাকতে বা ইনজাংশন (নিষেধাজ্ঞা) থাকত, তাহলে আমরা দলিল সম্পাদক করলাম কিভাবে?”
এ বিষয়ে উলুহাটি গ্রামের দরবারি মিজানুর রহমান বলেন, এই জমি নিয়ে পূর্বে গ্রাম্য সালিশি বৈঠকে জসিম উদ্দিনদের জমি না কেনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তারা সেই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেছে। জায়গাটি নিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।