নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় গড়াডোবা ইউনিয়নে ওয়াই গ্রামে কাঁচামাল ব্যবসায়ী তারা মিয়া ফকির হত্যা মামলায় পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে এক আসামি আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাটাহুশিয়া গ্রামের নয়ন মিয়ার ছেলে আফজাল হোসেনকে আটক করে কেন্দুয়া থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে পুলিশি প্রহরায় তাকে নেত্রকোনা আদালতে পাঠানো হয়। আফজাল আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। নেশার টাকার জন্য বিরোধের জেরে তারা মিয়া ফকিরকে হত্যা করা হয়েছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীদে স্বীকার করেছে আসামি।
আফজালের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে একই ইউনিয়নের জুলহাস মিয়ার ছেলে সজলকে গ্রেফতার করা হয়। তাকেও বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয়। এরআগে গত ১১ এপ্রিল গ্রেফতার করা হয় কাটাহুশিয়া গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে শামীমকে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেন্দুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম জানান, শামীমকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২১ মার্চ রাত ১০টার দিকে বাশাটি বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা তারা মিয়া ফকিরকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে তার মরদেহ বাড়ির পাশের একটি ব্রিজের নিচে ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পরদিন পারিবারিক কবরস্থানে তার বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাশারুল কেন্দুয়া থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, মামলার অগ্রগতির অংশ হিসেবে তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে এবং হত্যার নৈপথ্যে জড়িত সকল অপরাধীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।


