স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোরঃ
পুঁজিবাদ-সাম্র্যজ্যবাদের ধ্বংস ছাড়া মানব জাতির মুক্তি নেই। যতদিন সাম্রাজ্যবাদ আছে ততদিন যুদ্ধ আছে। যতদিন পুঁজিবাদী শোষণ লুন্ঠন আছে ততদিন সাম্প্রদায়িকতা আছে। আছে ততদিন গণহত্যা। শোষণের অবসান হলেই গণহত্যার অবসান ঘটবে। সকল ধরনের গণহত্যার বিরুদ্ধে, যুদ্ধের বিরুদ্ধে, শোষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে পৃথিবীর দেশে দেশে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হও, আমেরিকাসহ সকল বর্বরদের প্রত্যাখান কর, মানব জাতির অস্তিত্ব রক্ষায় এগিয়ে এসো।
আজ সোমবার বিকেল ৫টায় প্রেসক্লাব যশোরের সামনে প্যালেস্টাইন সংহতি কমিটি যশোরের অন্যতম নেতা মাহমুদ হাসান বুলু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, আমেরিকা ও ইসরাইলের শাসকদের শরীরে কোন মানুষের রক্ত নেই। আমেরিকার সাড়ে সাতশ সেনা ঘাটি সারা পৃথিবীকে জালের মত ঘিরে রেখেছে। এদের মত পুঁজিবাদ সাম্রাজ্যবাদের কয়েকটি কেন্দ্র সারা পৃথিবীতে শুধুমাত্র যুদ্ধ লাগানোর অযুহাত তৈরি করতে থাকে। অস্ত্র ব্যবসা এদের লাভজনক ব্যবসা। যুদ্ধ হলে এদের অস্ত্র ব্যবসা জমে।
এদের রাজনীতির কেন্দ্রে থাকে সৈন্যসংখ্যা বাড়ানো, অস্ত্র বৃদ্ধি করা, গণহত্যা করা আর যুদ্ধ বাধানো। যুদ্ধ বাধানোর জন্য এরা ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা ব্যবহার করে, জাত-পাতের বিভেদ বৃদ্ধি করে, দেশে দেশে যুদ্ধ লাগানোর অজুহাত তৈরি করে, বর্ণবাদ, আঞ্চলিকতা, ধর্ম, সাম্প্রদায়িকতা – সবকিছুকেই হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগায়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তখনকার যুদ্ধবাজরা ৫ কোটি মানুষ হত্যা করেছিল। ২০ কোটি মানুষকে পঙ্গু করে দিয়েছিল। এরপর আজ পর্যন্ত পৃথিবীর কোন না কোন দেশে প্রতিদিন যুদ্ধ ও গণহত্যা করে চলেছে। এই গণহত্যাকারি আমেরিকা আবার মানবজাতির নেতা সেজে বসে আছে। এরাই আবার দেশে দেশে মানবতা আর গণতন্ত্র শেখায়। বিশ্ব শান্তির বুলি শোনায়।
লজ্জা হয় যে, আমাদের মত দেশের সরকার ও বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা এই গণহত্যাকারি আমেরিকার সাথে পরামর্শ করে চলে। তাদের বুদ্ধি নিয়ে দল চালায়, দেশ চালায়। এই প্রতিক্রিয়াশীল আন্তর্জাতিক চক্রের হাত থেকে মানব জাতির মুক্তির পথ খুঁজতে হবে। মুক্তির পথ সমাজতন্ত্র। ফিলিস্তিনে গণহত্যার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হই।
এসময় বক্তব্য রাখেন, আহ্বায়ক ইসরারুল হক, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক কমরেড ইকবাল কবির জাহিদ, শাহজাহান আলী, হাসান হাফিজুর রহমান, নওরোজ আলম খান চপল, মনজুরুল আলম, সুরাইয়া শিকদার ইলা।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন জিল্লুর রহমান ভিটু, তসলিম-উর-রহমান, শেখ আলাউদ্দিন, অধ্যক্ষ শাহীন ইকবাল, শিক্ষিকা মাসুমা আক্তার, সায়রা বানু শিল্পী, হাসিনুর রহমান প্রমুখ। সমাবেশ শেষে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল যশোর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহরের চৌরাস্তা গিয়ে শেষ হয়।