কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন: নেত্রকোনার মদন উপজেলায় দীন ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামিসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪ (সিপিসি-২)। গ্রেফতারকৃত দুজনের মধ্যে একজন নারী আসামি রয়েছে।
গ্রেফতারকৃত হলো- উপজেলার কাপাসাটিয়া গ্রামের মৃত মমরোজ আলীর ছেলে আবু তাহের (৬৫) ও একই গ্রামের আবু তাহেরের স্ত্রী সুফিয়া আক্তার (৫০)। প্রথম জন এই হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ১নং আসামি। দ্বিতীয় জন ৪নং এজাহারনামীয় আসামি।
রবিবার (৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কিশোরগঞ্জ র্যাব-১৪ এর অধিনায়কের পক্ষে এসব তথ্য জানান মিডিয়া অফিসার।
এরআগে গত শনিবার রাত ৯টার দিকে গাজীপুরের বাসন থানাধীন ভোগড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ওই দুজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব।
র্যাব জানায়, গত ৬ মার্চ দুপুর আনুমানিক ১টার দিকে কাপাসাটিয়া গ্রামে নিহত দীন ইসলাম ক্রয়কৃত জমির সীমানা নির্ধারণ করতে যান। জমিতে প্রবেশের সময় এই হ্ত্যা মামলার ১নং এজাহারনামীয় আসামি আবু তাহেরসহ অন্যান্য আসামিরা ভুক্তভোগীকে মারপিঠ করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেন। এসময় ভুক্তভোগীর স্ত্রী তাহমিনা আক্তারের (৫৬) ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসেন। দীন ইসলামকে উদ্ধার করে মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভুক্তভোগীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মমেক) রেফার্ড করেন।
র্যাব আরো জানায়, ভুক্তভোগীর অবস্থার অবনতি হলে মমেক হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরের দিন ৭ মার্চ দুপুর ২টার দিকে মারা যান দীন ইসলাম। এ ঘটনায় গত ৮ মার্চ ভুক্তভোগীর স্ত্রী বাদী হয়ে মদন থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পর থেকে কিশোরগঞ্জ র্যাব-১৪ (সিপিসি-২) ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কার্যক্রম গ্রহণ করে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গ্রেফতারকৃত দুজন আসামিকে নেত্রকোনার মদন থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের তথ্য র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তি হতে নিশ্চিত হওয়া জানা গেছে।