নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সফলভাবে সম্পন্ন হলো পাঁচ দিনব্যাপী হিফজুল কুরআন, হামদ-নাত ও আজান প্রতিযোগিতা। ইসলামী সংস্কৃতির বিকাশ ও ধর্মীয় চেতনা জাগ্রত করতে এই প্রতিযোগিতাকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন স্থানীয়রা।
উপজেলার ৬০টি মাদরাসার ১৩৩ জন প্রতিযোগী এই আয়োজনে অংশ নেন। প্রতিযোগিতাকে পাঁচটি গ্রুপে বিভক্ত করা হয়। সেরা ১৫ জন প্রতিযোগীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
উপজেলা বিএনপি’র আয়োজনে এবং বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতা ধর্মীয় শিক্ষা প্রসারে অনন্য ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিকেলে স্থানীয় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিযোগিতার সফল সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত হন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তিনি বলেন, “এই প্রতিযোগিতায় বিচারক, অতিথি, শিক্ষক ও অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন। ইসলামী সংস্কৃতির বিকাশে এমন আয়োজন ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।”
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, হাফেজ সালমান বিন জামাল (দুর্গাপুর), মুফতি মাসুম বিল্লাহ (নেত্রকোনা), হাফেজ রইছ উদ্দিন আকন্দ (দুর্গাপুর), মাওলানা হাফিজুর রহমান ফারুকী।
পাঁচ দিনব্যাপি প্রতিযোগিতার সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট ইসলামি ব্যক্তিত্ব মাওলানা উসমান গণী ও মুফতি শফিকুল ইসলাম হামিদী। পুরো অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করেন মুফতি মাসউদুর রহমান ও মুফতি মামুনুর রশিদ।
অনুষ্ঠানে উপজেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী, স্থানীয় মাদরাসার শিক্ষকগণ ও ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয়দের মতে, এই আয়োজন কোমলমতি শিশু-কিশোরদের মধ্যে ধর্মীয় চর্চা ও কুরআন শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করবে এবং ইসলামী সংস্কৃতির প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সমাপ্তি বক্তব্যে আয়োজকরা মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন এবং প্রতিযোগিতার সফল আয়োজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তারা জানান, ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে এই ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।