তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের বিগত দিনের সফল এবং প্রয়াত অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য এম নাসের রহমান বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকে বিএনপি যতবারই সরকার পরিচালনা করেছে, ততবারই শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য, কৃষি এবং শিল্পে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে।
আর গণমানুষের দল হিসেবে একমাত্র বিএনপিই ভবিষ্যতে সরকারে গিয়ে কী করবে সে রোডম্যাপ (পথ নকশা) দিয়েছে। আর কেউ কি তা দিয়েছে? বিএনপি দুই বছর আগেই সংস্কারের রূপরেখা দিয়েছে। এসময় বিএনপির এই ৩১ দফা তুলে ধরে সাধারণ মানুষের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার জন্য দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্খীদের প্রতি আহবান জানান তিনি।
নাসের রহমান দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, বিএনপির ৩১ দফায় দেশ ও জাতির ভাগ্য উন্নয়নের কল্যাণ নিহিত রয়েছে। এই ৩১ দফা সাধারণ ভোটারসহ তরুণ ভোটারদের আগ্রহী করতে বিএনপির ৩১ দফা তুলে ধরবেন এবং বিএনপির পক্ষে জনমত গড়ে তুলবেন। তিনি মঙ্গলবার (১৮ই মার্চ) বিকেলে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ১০ নং নাজিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে ইউনিয়ন বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অতিথিদের নিয়ে কাউন্সিল অধিবেশন উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আলহাজ্ব বদরুল আলম। নাজিরাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আরফান মিয়ার সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মারুফ আহমদের পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন,জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আলহাজ আব্দুল মুকিত,মো.ফখরুল ইসলাম,মুজিবুর রহমান মজনু,জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আয়াছ আহমদ।
এসময় ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সফিউর রহমান শফি,তোফায়েল আহমদ তুয়েল,কাজল মাহমুদ,মিলাদ হোসেন,মোস্তফাপুর ইউনিয়ন বিএনপির নব নির্বাচিত সভাপতি ইমরান আহমদ,চাঁদনীঘাট পশ্চিম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আজমল আমিন তরফদার, ১২ নং গিয়াস নগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রুমান আহমদ রানু ও সাধারণ সম্পাদক মীর শামীম আহমদ। কাউন্সিল অধিবেশনের আগে ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব বদরুল আলম।
সম্মেলনে সভাপতি পদে দুইজন ও সাধারণ সম্পাদক পদে দুইজন প্রতিদ্বন্ধীতা করেন। ব্যালটের মাধ্যমে গোপন ভোটে সভাপতি পদে মো.আশরাফ উদ্দিন ২৩৪ ভোট পেয়ে নাজিরাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রার্থী মুক্তার মিয়া পান ১২৭টি। সাধারণ সম্পাদক পদে ২৬৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন বদরুল ইসলাম মেদলা। তার নিকটতম প্রার্থী আফিকুর রহমান তার প্রাপ্ত ভোট ৯১টি।
সম্মেলনে মোট ভোটার ছিল-৪৫৯ টি। এর মধ্যে ভোট প্রদান করা হয় ৩৬৫টি। সভাপতি পদে ৪টি ব্যালট এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৯টি ব্যালট পেপার বাতিল হয়। দুই বুথে নির্বাচনের প্রিজাইডিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন জেলা বিএনপি নেতা মো.ফখরুল ইসলাম ও মুজিবুর রহমান মজনুসহ পোলিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন বিএনপি নেতা কাজল মাহমুদ, ইমরান আহমদ, আলীম হোসেন মীরু, মিলাদ হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম ও শফিউর রহমান।