তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে উচ্ছেদ অভিযান থেকে শুরু করে সচেতনতা তৈরি-কোনো কিছুই বাদ যায়নি। এরপরও ফুটপাত নতুন করে আবার দখল হয়ে যায়।
পৌরবাসীরা বলছেন, ফুটপাত উচ্ছেদের পর নিয়মিত ফলোআপ না থাকায় এর সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। ফুটপাত ব্যবসায়ীরা বলছেন, তাদের বিকল্প কোনো স্থানে না দিয়ে বারবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা ও জরিমানা করা হয়। অবশ্য উপজেলা প্রশাসন ওই ব্যবসায়ীদের কথার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, হকারদের জন্য বাজারে পুনর্বাসন করা হলেও তারা বাজারে যেতে রাজি নন।
গত দু’দিন সরেজমিনে দেখা গেছে, ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা পৌর শহরের দক্ষিণ বাজার, উত্তর বাজার, থানা ও ডাকবাংলোর সম্মুখে ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এ কারণে পথচারীরা ফুটপাত ব্যবহার না করে সড়কের পাশ দিয়ে চলাফেরা করেন। বিভিন্ন সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ফুটপাত দখলমুক্ত করা হলে আবারও তা দখল হয়ে যায়। এক চাকুরীজীবী বলেন, প্রতিদিন অফিসে যেতে ফুটপাত দিয়ে হাঁটা যায় না, মূলসড়কে নামতে হয়। এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। প্রশাসন যদি উচ্ছেদ করেই তাহলে কেনো আবার তারা বসবে? পথচারীদের সাথে বললে জানান, কুলাউড়া শহরের প্রায় পুরো ফুটপাত দখল হয়ে আছে। চলাফেরা করা যায় না।
কিছু বললে ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা উল্টো সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে তেড়ে আসে। ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছেন কেনো এমন প্রশ্নে এক ব্যবসায়ী বলেন, সংসার চালাইতে হইবো, কেউ তো আর এমনি এমনি ঘরে চাউল দিয়া আইবো না। উপজেলা প্রশাসন আপনাদের পুনর্বাসনে জায়গা দিয়েছে সেখানে যাচ্ছেন না কেনো? এমন প্রশ্ন করলে ওই ব্যবসায়ী কোনো উত্তর দেননি।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ জহুরুল হোসেন বলেন, যানজট-ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে প্রায়ই অভিযান পরিচালনা করা হয়। বিভিন্ন সময় জরিমানাসহ গাড়ি-মালামাল জব্দ করা হয়। তবুও কেউ নিয়ম মানে না। প্রয়োজনে এখন থেকে আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি কারাদণ্ড প্রদান করা হবে বলেও তিনি জানান। এবং অবৈধভাবে দখল করে রাখা ফুটপাত পরিস্কারে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।