উবায়দুল্লাহ রুমি, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ঈশ্বরগঞ্জে সুলভ মূল্যের হাট বসানো হয়েছে। এ হাটে সব ধরণের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বাজার দর থেকে ১০-১৫ টাকা কমে বিক্রি করা হচ্ছে। পবিত্র রমজানে ক্রয় সামর্থ্যহীন মানুষ যাতে কম মূল্যে পণ্য কিনে স্বস্থিতে রোজা পালন করতে পারে সে লক্ষ্যে পহেলা রমজান থেকে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এ হাট বসানো হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের আহবানে এ হাটে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তি উদ্যোগে দোকান পাট বসানো হয়েছে। খোলা বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট বিরাজ করলেও এ হাটে কোন সংকট নেই। বাজারে এক লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৯০ টাকার স্থলে এ বাজারে ১৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুসুর ডাল ১২০ টাকার স্থলে ১০০, পল্টি মুরগী ১৭০ টাকার স্থলে ১৬০ টাকায়, ছোলা ১০৫ টাকার স্থলে ৯৫ টাকা, আলু ৩০ টাকার স্থলে ২০ টাকা, শসা ৩০ টাকার স্থলে ২৫টাকা, চিনি ১২০ টাকার স্থলে ১১৫ টাকা, ডিম প্রতি ডজন ১২০ টাকার স্থলে ১০০ টাকা।
এ হাটে প্রশাসনের আহবানে সপ্তাহে ৩ দিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ৪-৫টি ষাঁড় গরু জবাই করে ৬৫০ টাকা কেজি দরে গোশত বিক্রি করে নিন্ম আয়ের মানুষদের সেবা প্রদান করছেন। সরেজমিন হাট ঘুরে দেখা যায়, কম মূল্যের গোশত কিনতে শত শত ক্রেতা লাইনে দাঁড়িয়েছেন। ক্রেতারা জানান, এখানে ২কেজি থেকে সর্ব নিন্ম ২৫০ গ্রাম গোশত কেনার সুযোগ রয়েছে। অথচ বাজারে ২৫০ গ্রাম গোশত বিক্রিই করা হয় না।
এতে অসহায় লোকেরাও এ হাটে গোশতে কিনতে পারছেন। হাটে আসা ক্রেতা রিক্সা চালক মোজাম্মেল মিয়া জানান, সারা দিন রিক্সা চালিয়ে যে আয় করি তা দিয়ে শহরের বাজার থেকে কম মূল্যে এতগুলো সদাই করতে পারতাম না। এ হাটটি বসাতে গরীব মানুষদের খুব উপকার হয়েছে। সবাই কম টাকায় বাজার করতে পারছি।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এরশাদুল আহমেদ বলেন, বাজারের সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে এবং গরীব নিন্ম আয়ের রোজাদার মানুষ যাতে সুলভ মূল্যের পণ্য কিনে স্বস্থি পায় সে লক্ষ্যেই এ হাট বসানো হয়েছে। এ সেবার বিস্তৃতি বাড়াতে উপজেলার সোহাগী রেল ষ্টেশনেও সুলভ মূল্যের হাট বসানো হয়েছে। এ সেবা সারা রমজান মাস ব্যাপী অব্যহত থাকবে।