নিজস্ব প্রতিবেদক: দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেত্রকোনা জেলায় এইচবিবি হেরিং বোন প্রকল্পের ঠেন্ডারে জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (সার্বিক) প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস।
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে নেত্রকোনা জেলার ১০ উপজেলায় ১৩ টি প্যাকেজে “গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে এইচবিবি (হেরিং বোন বোন্ড) প্রকল্পে মোট নয় কোটি ৩৯ লাখ দুই হাজার টাকার দরপত্র আহবান করা হয়।
দরপত্রে নেত্রকোনা জেলা ত্রাণ কর্মকর্তার কার্যালয়ের ষ্টাফদের যোগসাজশে ড্রপিংকৃত সিডিউল চুরি, টেন্ডারে সিন্ডিকেট, জালিয়াতিসহ অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগে ২১-০১-২৫ ইং তারিখে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন মেসার্স দিনার এন্টারপ্রাইজ ও এনএসি ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশনের ঠিকাদার মেহেদী হাসান দিনার ও চন্দন দেবনাথ।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ, নেত্রকোনা জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তার অফিস থেকে স্টাফদের যোগসাজশে মেসার্স দিনার এন্টারপ্রাইজের ড্রপিংকৃত সিডিউল চুরি হয়ে যায়। পরে ঠিকাদারদের তৎপরতায় কলমাকান্দা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহায়ক হোসাইন বিন মাহমুদের কাছ থেকে সিডিউল উদ্ধার হয়। সিডিউল চুরির ঘটনায় হোসাইন বিন মাহমুদ নামে একজনকে বরখাস্তও করা হয়।
ভুক্তভোগী ঠিকাদারদের অভিযোগ, সিডিউল উদ্ধার হলেও সিডিউল ড্রপিং এর সময় অতিবাহিত হওয়ায় মদন উপজেলায় ড্রপ করা যায়নি। এমনকি উদ্ধারকৃত সিডিউল পূনরায় ড্রপ করে সিএস লিস্টে নাম অন্তর্ভুক্তির পরও সড়ক ও জনপদের লাইসেন্সকে মানি রিসিট আখ্যা দিয়ে লটারিতে অংশগ্রহণ করতে না দেওয়ার অভিযোগ আটপাড়া উপজেলা মূল্যায়ন কমিটির বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। জড়িতদের বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলনও করেন ভুক্তভোগী ঠিকাদারগণ।