সাউথইস্ট ব্যাংক থেকে ৫২৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা পৃথক দুই মামলায় কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
আজ বুধবার তিনি ঢাকা মহানগর দায়রা জাজ আদালতে হাজির হন। এরপর তার আইনজীবী জামিন চেয়ে শুনানি করেন। তবে দুদক জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব তার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ২ জানুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক আজিজুল হক বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন।
প্রথম মামলায় কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান খালেক পাঠানের সঙ্গে আসামি করা হয়েছে সাউথইস্ট ব্যাংকের তৎকালীন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও গুলশান শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ক্রেডিট ইনচার্জ মো. মোর্শেদ আলম মামুন, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা প্রধান মো. রেজওয়ানুল কবির, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এক্সপোর্ট ইনচার্জ অমীয় কুমার মল্লিক এবং এসএভিপি ও এক্সপোর্ট ইনচার্জ মো. আশরাফুল ইসলামকে। তারা সাউথইস্ট ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের কোনো অনুমোদন ছাড়াই গুলশান শাখা থেকে ৪৯৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা উত্তোলন করে ‘আত্মসাৎ’ করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় মামলায় খালেক পাঠান, মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, মো. মোর্শেদ আলম মামুন এবং মো. আশরাফুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।
এজাহারে (দ্বিতীয় মামলা) বলা হয়, তারা ‘ক্ষমতার অপব্যবহার করে’ গুলশান শাখা থেকে ২৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা উত্তোলন করেছেন এবং ‘আত্মসাৎ’ করেছেন।