বস্ত্র, পাট ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, তাঁত শিল্প বিকাশের জন্য সরকার কিছু উপকরণে শুল্ক সুবিধা দিয়ে আমদানির ব্যবস্থা করলেও কিছু লোক এ সুবিধার অপব্যবহার করেছে।
তিনি আজ (বুধবার) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে (জেডিপিসি) বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড আয়োজিত জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের আওতায় ‘তাঁতিদের মাঝে ন্যায্য মূল্যে সুতা, রং ও রাসায়নিক সরবরাহ সংক্রান্ত প্রচলিত পদ্ধতির সংস্কার ও উন্নয়ন’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে একথা বলেন।
তিনি বলেন, তাঁত শিল্পের উন্নয়নে সরকারের আন্তরিক সদিচ্ছাকে এই সেক্টরের কিছু দুর্বৃত্ত অপব্যবহার করেছে। এতে ধনী আরো ধনী, গরিব আরো গরীব হয়েছে। এর ফলে সরকার শুল্ক সুবিধা থেকে যেমন বঞ্চিত হয়েছে, তেমনি তাঁতিরাও এর সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। মাঝখানে কিছু লোক দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে পুঁজি করেছে।
তিনি বলেন, তাঁতিদের উপকারে আসে এমন কোন প্রস্তাবনা এই কর্মশালা থেকে এলে সরকার তা বিবেচনা করবে এবং তা অতি দ্রুত সংস্কার করা হবে।’
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘সরকার স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে ৬৩ লাখ মানুষকে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবি’র পণ্য দিচ্ছে। এটা ক্রমান্বয়ে এক কোটিতে উন্নীত করা হবে। এ প্রক্রিয়ায় দেশের প্রান্তিক তাঁতিদের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। ‘
উপদেষ্টা বলেন, ‘পণ্যের মধ্যে উদ্ভাবন ও বৈচিত্র্য আনতে হবে। উপকরণ সঠিক দামে পেলে অর্থনৈতিকভাবে এটাকে উপযুক্ত মূল্যে বানাতে পারবো। জুলাই বিপ্লবের চেতনা হচ্ছে দুর্বৃত্তায়ন হঠানো। দুর্বৃত্তদের কাছ বের হয়ে আসতে পারলে সমাজ বদলানো সম্ভব হবে।
তাঁতি সমিতির সদস্যরা বলেন, কাচাঁমাল সাপ্লাই ও সুযোগ সুবিধাগুলো নিশ্চিত করতে সরকারের তদারকি প্রয়োজন যাতে আগামীদিনে তাঁতিদের তৈরি পণ্য আরও বেশি পরিমাণ বিদেশে রপ্তানি করা যায়।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: আব্দুর রউফের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু আহমদ ছিদ্দীকী, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আরিফুর রহমান খান, বিটিএমসি’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম জাহিদ হাসান, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: শহিদুল ইসলাম, জেডিপিসি’র নির্বাহী পরিচালক জিনাত আরা।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, তাঁত উদ্যোক্তা এবং বিভিন্ন জেলার তাঁতি সমিতির প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।