নিজস্ব প্রতিবদক: বেসরকারী সংগঠন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ নেত্রকোনা কেন্দ্রের উদ্যোগে নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সেবা প্রাপ্তি সহজতর করার লক্ষ্যে নারী দল সদস্য, সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তা, সিএসও প্রতিনিধিদের মধ্যে এক সংলাপ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সংগঠনের অ্যাডভান্সিং ইক্যুয়ালিটি অব উইমেন অ্যান্ড মারজিনালাইজ্ড পিপল (আওয়াম) প্রকল্পের উদ্যোগে এ সংলাপ অনুষ্ঠানটি পূর্ব কাটলী বিএনপিএস এমএফটি হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়।
বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক ও জেলা রাষ্ট্র বিজ্ঞান সমিতির সভাপতি প্রফেসর ননী গোপাল সরকারের সভাপতিত্বে আয়োজিত সংলাপ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উন্নয়ন কর্মকর্তা কল্পনা ঘোষ।
সংলাপের শুরুতেই সংলাপের উদ্দেশ্য ও মূল বিষয়ের উপর ধারনাপত্র প্রদান করেন নেত্রকোনা কেন্দ্রের কেন্দ্র ব্যবস্থাপক জনাব মৃনাল কান্তি চক্রবর্তী।
সংলাপের বিষয়বস্তুর উপর আলোচনা করেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক জনাব আব্দুর রউফ সরকার, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা গাজী মোবারক হোসেন, নেত্রকোণা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের চীফ ইন্সট্রাক্টর এসএম ছাদরুল কবির, ইন্সট্রাক্টর শাকিল মোস্তফা,জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা কর্মকর্তা কিবরিয়া খান, জনউদ্যোগ এর আহবায়ক শ্যামলেন্দু পাল, আইনজীবী দিলুয়ারা বেগম, স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতির ব্যবস্থাপক কুহিনূর বেগম, জেলা উদীচী সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, প্রত্যাশা সাহিত্য গোষ্টীর সম্পাদক ওবায়দুল হক রিপন, কুনিয়া কমিউনিটি ফোরাম সভাপতি কামাল হোসেন, নারীদল নেত্রী রেনু আক্তার, কনা আক্তার, মুক্তা বেগম ও ইয়ূথ গ্রুপ প্রতিনিধি ইমা আক্তার প্রমুখ।
সংলাপে সেবার ধরন, সেবা গ্রহণের অভিজ্ঞতা, বাঁধা, সেবা প্রাপ্তির যোগ্যতা এবং সেবা গ্রহণে সহজীকরন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও পক্ষে বিপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে সংলাপকে সমৃদ্ধ করা হয়। সংলাপ শেষে সকলেই একমত হন যে দেশের অর্ধেক নারী সমাজ ও প্রান্তিক জনগোষ্টীকে উন্নয়নের অংশীদার হতে বঞ্চিত করে বৈষম্যমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না, আর এজন্য দরকার নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য চাহিদা সম্পন্ন যুগোপযোগী সেবার মান।
আলোচকবৃন্দ একমত হন, সেবা গ্রহীতাদের ও এ বিষয়ে আরো সচেতন হতে হবে এবং প্রতিষ্ঠানে তাদের প্রবেশাধিকার বাড়াতে হবে। কখন, কোথায় কি ধরনের সেবা কাদের জন্য প্রদান করা হয় সে বিষয়ে তথ্য জেনে যোগাযোগ বাড়ানোর দক্ষতা অর্জন করতে হবে। পাশাপাশি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সমূহকে আরো স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও আন্তরিকতার সহিত সাধারন মানুষ বিশেষ করে নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দ্বারগোড়ায় সেবা প্রদানের জন্য সুপারিশ করা হয়।