নিজস্ব প্রতিবেদক: নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় ১১ বছর বয়সি এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী দাদা বজলুর রহমান খান। মঙ্গলবার বিকেলে দুর্গাপুর পৌরশহরের দুর্গাপুর সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কাকৈরগড়া ইউনিয়নের বরবাট্রা গ্রামের উক্ত শিক্ষার্থীর দাদা বজলুর রহমান খান।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, কাকৈরগড়া ইউনিয়নের বড়বাট্টা গ্রামের আসাদ মিয়া, আবু ফাতা, হবি মিয়া, নূর বানুর সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমি-জমাসহ পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝামেলা চলে আসছে। এরই জেরে গত সোমবার (২০জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়িতে যাওয়ার পথে রোকসানা আক্তারের বাড়ির সামনে পৌঁছামাত্র উল্লিখিত চারজন আমার নাতনীকে অপহরণ করে হবি মিয়ার বাড়িতে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, আসাদ মিয়া হুকুম দেয় সামিয়াকে মেরে বস্তায় ভরে নদীতে ভাসিয়ে দিতে। এরপর সামিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্মমভাবে মারধর শুরু করে আবু ফাতা, হবি মিয়া ও নূরবানু। সামিয়ার ডাক চিৎকারে স্থানীয় ইয়াছমিন, সায়মা ও রোকসানা আক্তার এসে তাকে উদ্ধার করে। এসময় তারা হুমকি দেয়, আজ সামিয়া বেঁচে গেছে, পরবর্তীতে পেলে আর বাঁচতে দিবো না। এরপর সামিয়াকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন মিয়া।
এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, হারুনুর রশিদ লিটন, বজলুর রহমান খান, বিউটি খানম, রাসেল খান প্রমুখ।