কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন: বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দলের (বিএনপি) আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ফ্যাসীস্ট বিরোধী রাজনৈতিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সারা বাংলাদেশের সমস্ত রাজনৈতিক দলকে তারেক রহমান ঐক্যবদ্ধ করেন এবং ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে এই ফ্যাসিস্ট রেজিম বিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে গেছে। জনগণের প্রত্যাশা এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সহস্র নেতা-কর্মী অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বাংলাদেশে তারেক রহমানকে বরণ করার জন্য। দেশে আসার ব্যাপারে আইনগত কোন ধরনের ঝামেলা নেই।”
শনিবার (১৮ জানুয়রি) বেলা সাড়ে ১১টায় বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নেত্রকোনার কলমাকান্দায় নাজিরপুর ঈদগাহ মাঠে ইউনিয়ন বিএনপি’র আয়োজনে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) সহযোগিতায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ক্যাম্পের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেছেন।
তিনি আরো বলেন, “তারেক রহমান আইনের শাসনের প্রতি আস্থাশীল। যেহেতু তিনি (তারেক রহমান) আদালতের প্রতি আস্থাশীল এবং আইনের শাসনে বিশ্বাসী তাঁর মামলা আইনগতভাবেই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। মামলায় তারেক জিয়ার দেশে আসার কোন বাধা নেই। তিনি দীর্ঘদিন যাবত বিদেশে অবস্থান করছেন।”
কায়সার কামাল আরো বলেন, “এদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও গ্রহণযোগ্য নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন। তারেক রহমান একাধারে যেমন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। ঠিক তেমনি মায়ের সন্তানও বটে। মায়ের চিকিৎসা শেষে দেশের আসার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা যথাসময়ে নেবেন। আইনি কোন বাধা ছিল না। এখনো নাই। আইনে বাধা থাকবে না কেননা তিনি আইনের প্রতিশ্রদ্ধাশীল। আইন দ্বারা যা নির্দেশিত হবে তা তারেক রহমান মেনে নেবেন সর্বদাই।”
বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবায় অংশ নিতে সকাল থেকেই ঈদগাহ মাঠে ভিড় করতে থাকেন সেবা প্রার্থীরা। দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রায় চার হাজার রোগী রেজিস্ট্রেশন করেন।
আগত রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে শিশু, মহিলা ও স্ত্রী রোগ এবং অর্থপেডিক্স, হৃদরোগ, মেডিসিন, চর্মরোগসহ ৪৬জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বিনামূল্যে সেবা প্রদান করেন। প্রত্যেক রোগীকে বিনামূল্য ঔষধ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয় এই মেডিকেল ক্যাম্পে।