গত দেড় দশকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর অনিয়ম ও দুর্নীতির পেছনে শেখ রেহানার নাম উঠে এসেছে বারবার।বিশেষ করে ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে বেসিক ব্যাংক লুট এবং অন্যান্য বড় ঋণ কেলেঙ্কারির সময় তার ভূমিকা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে আলোচনা তুঙ্গে।
অভিযোগ রয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের চেয়ারম্যান, এমডি এবং অন্যান্য শীর্ষ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে তার সুপারিশ অপরিহার্য ছিল।এসব পদে নিয়োগ পেতে সালমান এফ রহমান এবং চৌধুরী নাফিস শরফতের মাধ্যমে শেখ রেহানার অনুমোদন পাওয়ার চেষ্টা করতেন।
ঋণ পেতে বড় কর্পোরেট গ্রুপগুলো প্রার্থীদের পক্ষে ঘুষ পরিশোধ করত। পরবর্তীতে এসব গ্রুপকে ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের ঋণ তুলে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হতো। ঘুষের অর্থ আদান-প্রদানের এই সংস্কৃতি ব্যাংক ব্যবস্থাকে গভীর সংকটে ফেলেছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ দেড় লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সোনালী ব্যাংক ইউকে লিমিটেডের শীর্ষ নির্বাহী আতাউর রহমান প্রধানের নামও আলোচিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে শেখ রেহানার সঙ্গে সুসম্পর্কের ভিত্তিতে সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।যুক্তরাজ্যে ব্যাংকের শাখা বন্ধ হওয়ার পরও তিনি দেশে ফিরে রূপালী ব্যাংক ও পরে সোনালী ব্যাংকের এমডি পদে নিয়োগ পান। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে তিনি পলাতক।
অভিযোগ রয়েছে, শেখ রেহানার অনুমোদন ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ অসম্ভব ছিল। এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক অর্থ লেনদেন এবং রাজনৈতিক প্রভাবের জোরালো ভূমিকা ছিল।ব্যাংক ব্যবস্থার এই সংকট এখন দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দিচ্ছে।