শুভ তংচংগ্যা।
ঢাকা সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তিতুমীর ঐক্য। আজ ৯ জানুয়ারি বিকেল ৪:৩০ মিনিটে কলেজ শহীদ বরকত মিলনায়তনের প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। দেশের অন্যতম বৃহত্তম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত তিতুমীর কলেজে প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা করেন।
তবে আধুনিক অবকাঠামোর অভাব, গবেষণা সুবিধার সীমাবদ্ধতা এবং প্রশাসনিক উন্নয়নের ঘাটতির কারণে শিক্ষার্থীরা মানসম্মত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এসব সমস্যার সমাধান হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবি জানিয়ে আসছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সংবাদ সম্মেলনে তিতুমীর ঐক্যের জানান, “তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা সময়ের দাবি।
বর্তমান সরকারের উন্নয়নমুখী নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরা চাই, এ দাবি দ্রুত বাস্তবায়িত হোক। বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর হলে এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষার নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।” নতুন কর্মসূচি ঘোষণা সংবাদ সম্মেলনে চার দফা কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়। ১. খোলা চিঠি কর্মসূচি: আগামী ১২-১৫ জানুয়ারি তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা “হ্যাশট্যাগ তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়” শিরোনামে প্রধান উপদেষ্টার কাছে খোলা চিঠি লিখবেন।
২. তাহবান্দ কর্মসূচি: ১৬ জানুয়ারি “তাহবান্দ” নামে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিশেষ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে, যা এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। ৩. ভয়েস অব তিতুমীর: ১৭-১৮ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা “ভয়েস অব তিতুমীর” শিরোনামে কর্মসূচি পালন করবেন, যা যৌক্তিক দাবির পক্ষে শক্তিশালী উদাহরণ হবে।
৪. ক্লোজ ডাউন ঘোষণা: যদি ১৯ জানুয়ারির মধ্যে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের ঘোষণা না দেওয়া হয়, তবে ওই দিন থেকে তিতুমীর ক্লোজ ডাউন কর্মসূচি শুরু হবে। শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা তিতুমীর কলেজে এক শিক্ষার্থী বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর হলে আমরা গবেষণার সুযোগ বাড়ানোসহ উন্নত মানের শিক্ষা এবং সুযোগ-সুবিধা পাবো, যা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”