জবি প্রতিনিধি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি)) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে তিন দিন ব্যাপী এস পিএসএস (স্ট্যাটিসটিক্যাল প্যাকেজ ফর সোশ্যাল সাইন্স) ট্রেনিং ও সার্টিফিকেট বিতরণ প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) এই প্রোগ্রামের সার্টিফিকেট বিতরণী অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফারহানা জামান। আহবায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহযোগী অধ্যাপক ড.তৌহিদ হোসেন খান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বিভাগের শিক্ষকরা ও শিক্ষার্থীরা। তিন দিনের (৭-৯ জানুয়ারি) সেশনে রিসোর্স পার্সন হিসেবে ছিলেন পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সানওয়ার হোসেন এবং ফ্যাসিলিটেটর হিসেবে ছিলেন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী শামিমা ফেরদৌসি বন্যা ও বর্তমান শিক্ষার্থী সিদরাতুল মুনতাহা। তিন দিন ব্যাপী এই ট্রেনিংয়ে ডাটা এন্ট্রি, ফ্রিকোয়েন্সী টেবিল, ডাটা এনালাইসিস, গ্রাফ চার্ট তৈরি সহ বিভিন্ন বিষয় শেখানো হয়। এই ব্যাসিক কোর্স ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করা হয়েছিলো যারা এখন রিসার্চ মনোগ্রাফ করছে।
এছাড়া অন্যান্য ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ও এই কোর্সে অংশগ্রহণ করেছে। এবিষয়ে ফ্যাসিলিটেটর সিদরাতুল মুনতাহা বলেন, যেহেতু গবেষণার সাথে এসপিএস এস সফটওয়্যার ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকে তাই এই ট্রেনিং প্রোগ্রাম টি শিক্ষার্থীদের গবেষণা কাজে উৎসাহী করে তুলতে এবং সুষ্ঠুভাবে গবেষণা করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমি মনে করি।
সেই সাথে আশা রাখি সমাজবিজ্ঞান বিভাগ নিয়মিত এই ধরনের সেশন গুলো আয়োজন করবে। বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফারহানা জামান বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ তিন দিন ব্যাপী SPSS ট্রেনিং সেশানের আয়োজন করেছে । এ ধরনের শিক্ষণ প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা গবেষণা ধর্মী কাজে অবদান রাখতে পারবে।
আমি মনে করি, প্রায়োগিক শিক্ষণ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আলাদা এক আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি হবে যা তাদের ভবিষ্যত কর্মজীবনে এগিয়ে যেতে অনেক বেশি সহায়ক হবে।
এই প্রশিক্ষণের ফলে সমাজবিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীরা NGO, INGO সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিজেদের যোগ্যতা তুলে ধরতে সক্ষম হবে। আশা করছি, শিক্ষার্থীরা আরো বেশি মাত্রায় এ ধরণের প্রশিক্ষণ গ্রহনে উদ্বুদ্ধ হবে। বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী গবেষণায় এমন প্রশিক্ষণ তাদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে বলে আমি মনে করি।