বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ-
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি)পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ওমর শরীফের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অনুমতি ব্যতীত বিজয় দিবস হলে পুলিশ ডেকে আনার অভিযোগ তুলে উপযুক্ত শাস্তি চেয়ে প্রক্টর বরাবর অভিযোগ করেছেন হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার ২৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর অভিযোগপত্রে শিক্ষার্থীরা এ অভিযোগ জানান।
অভিযোগ পত্রে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন বিজয় দিবস হলে সিট বিন্যাস নিয়ে মিটিংয়ের আয়োজন করা হয় এই মিটিংয়ের কিছু শিক্ষার্থী অনাকাঙ্খিত বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে। তখন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা তাদের উপর ক্ষিপ্ত হলে তারা প্রভোস্টের রুমে আশ্রয় নেয়। এসময় প্রক্টর স্যার আসলে আমরা সবাই প্রক্টর স্যারের সাথে কথা বলতে গেলে ভূয়া সমন্বয়কের পরিচয়ে ওমর শরীফ ডিবি নিয়ে আসে। এছাড়াও ক্যাম্পাস প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই ভূয়া সমন্বয়ক ওমর শরীফ ডিবির সাথে ক্যাম্পাস ত্যাগ করে যা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন অবগত নয় বলে উল্লেখ করা হয় এবং এই ঘটনা হলের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে বলেও জানানো হয়।
এই বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিজয় দিবস হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বয়কবৃন্দের যে তালিকা ছিল সেখানে তার নাম ছিল না। অথচো সে সমন্বয়ক পরিচয়ে পুলিশ কে ফোন করে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদেরকে ছাত্রলীগ হলে বন্দি করে রেখেছে। তাদের উদ্ধারের জন্য দ্রুত আসতে বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিল। তাদেরকে অবহিত না করেই হলে পুলিশ ডাকার মতো সাহস দেখিয়েছে সে। তার এমন নিন্দনীয় কাজের অবশ্যই বিচার হওয়া প্রয়োজন। সে নিজেকে অনেক বড় হেডম ওয়ালা মনে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ভঙ্গ করার সাহস দেখায়।
এ বিষয়ে ওমর শরিফ বলেন, “আমরা যখন রুমে আটকা পড়ি তখন ওইখানে ভয়াবহ অবস্থা ছিল তারই পরিপ্রেক্ষিতে সহকারী হল প্রভোস্ট আশিকুর রহমান স্যার ছিলেন আর জাহিদ স্যার ছিলেন তারা ডিবি পুলিশকে কল করেন।”
এই বিষয়ে প্রক্টর ড. আরিফুজ্জামান রাজীব বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে বক্তব্য নিতে বলেন।
এই বিষয়ে জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক মোঃ মাহবুবুল আলম বলেন, “ এ বিষয়ে শোকজ করা হয়ছে। তিন কর্মদিবসের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে। জবাবের উপর ভিত্তি করে পরবর্তী ব্যবস্থনেওয়া হবে”