কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন: র্যাবের যৌথ অভিযানে সোহাগ চৌধুরী (২৮) হত্যা মামলার এফআইআরভুক্ত প্রধান আসামিসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। র্যাব-৭, র্যাব-৮ ও র্যাব-১৪ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে তিনজনকে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা থেকে এবং একজনকে চট্টগ্রামের পাচলাইশ থানাধীন এলাকা থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
শরীয়তপুর হতে গ্রেফতারকৃত তিনজন হলেন- কদিম ডৌহাখলা গ্রামের মো. জয়নুদ্দিন ওরফে টিক্কার দুই ছেলে মো. মেহেদী হাসান (২৪) ও এহসানুল হক মিলন (২২) এবং রাজিবপুর গ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে মামুন (২২)। চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতারকৃত মো. রাকিবুল ইসলাম (৪৫) কদিম ডৌহাখলা গ্রামের মৃত মনির উদ্দিনের ছেলে। গ্রেফতারকৃত চারজনই ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বাসিন্দা।
অপরদিকে নিহত সোহাগ চৌধুরী ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বাঁশাটি গ্রামের মৃত আবুল কাশেম চৌধুরীর ছেলে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ (সিপিএসসি) এর অধিনায়কের পক্ষে মিডিয়া অফিসার ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. নাজমুল ইসলাম (পিপিএম-সেবা)।
তিনি জানান, গত ২৭ নভেম্বর বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জেরে ময়মনসিংহ গৌরীপুর উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের ডৌহাখলা উচ্চ বিদ্যালয় মোড়ে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা সোহাগ চৌধুরীর পথরোধ করেন। গালিগালাজের একপর্যায়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দ্বারা উপর্যুপরি কুপিয়ে সোহাগকে রক্তাক্ত জখম করেন আসামিরা। পরবর্তীতে সোহাগের পরিবারের লোকজন তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল (মমেক) হাসপাতালে ভর্তি করান। মমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৫ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে সোহাগ মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনায় নিহত সোহাগের বড় মো. মাজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ৮ ডিসেম্বর গৌরীপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার ১নং এহাজারনামীয় আসামি মেহেদী হাসান ও তার ছোট ভাই এহসানুল হক মিলন ২নং আসামি এবং বাকি দুজন এ মামলার অন্যতম এজাহারভুক্ত আসামি। গ্রেফতারকৃত আসামিদেরকে গৌরীপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র্যাবের মিডিয়া কর্মকর্তা।