ডা.এম.এ.মান্নান নাগরপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি:
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি।সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে সাত টায় সরকারি যদুনাথ স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান গেট থেকে সংগঠনটির উপজেলা শাখা আমীর মাওলানা মো.রফিকুল ইসলামের নেত্বত্বে বিজয় র্যালি শুরু হয়।র্যালিটি নাগরপুর বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে উপজেলা চত্বর ঘুরে নাগরপুর প্রাণকেন্দ্রের দোয়াজানী কলেজ পাড়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের জন্য জড়ো হয়।বিজয় র্যালি শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম টাংগাইল জেলা সভাপতি ডা.একে এম আব্দুল হামিদ,উপজেলা জামায়াত আমীর হযরত মাওলানা মো.রফিকুল ইসলাম,উপজেলা জামায়াত সেক্রেটারী অধ্যাপক আব্দুস সালাম।এসময় উপজেলা সাবেক আমির অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রব্বানী,মুক্তিযোদ্ধা মো.সিদ্দিকুর রহমান, মানবাধিকার কর্মী ব্যারিস্টার হাসনাত জামিলসহ নাগরপুর জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেত্ববৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।এছাড়াও নাগরপুর উপজেলা ছাত্রশিবির সভাপতি মু.তোফায়েল আহমেদ এর নেত্বত্বে বিপুল সংখ্যক ছাত্র জনতা এ বিজয় র্যালিতে অংশগ্রহন করেন।বিজয় র্যালি শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন,একটি দল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুঁজি করে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছিল।
ক্ষমতার মসনদে বসে তারা নানা ধরনের অন্যায় অপরাধ করেছে। বিরোধীমতের দমনে এমন কোনো কাজ নেই যা তারা করেনি। অসংখ্য নিরপরাধ মানুষকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছে এবং জেলে বন্দি রেখেছে। কিন্তু ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে তাদের ক্ষমতার মসনদ চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেছে। যে স্বাধীনতা ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর দিয়ে এসেছে সেটি যে কোনো মূল্যে রক্ষা করা হবে,ইংশাআল্লাহ।বক্তরা আরও বলেন,দীর্ঘ ১৫ বছর পর বাধাহীনভাবে বিজয় র্যালি করতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন জামায়াত শিবির নেতাকর্মীরা। তারা বলেন,বিগত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ সরকার আমাদের বিজয় র্যালি পর্যন্ত করতে দেয়নি। তারা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। বিরোধী মত দমন করতে আগ্রাসী মনোভাব ছিল। এবার বাধাহীনভাবে বিজয় র্যালিকরতে পেরে আমরা আনন্দিত বলেও মন্তব্য করেন জামায়াতে ইসলামি ও ইসলামী ছাত্রশিবির নেতাকর্মীরা।