কনফারেন্স কক্ষে এক আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে উপাচার্য তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, ‘১৯৭১ সনের ২৫ মার্চ কাল রাত থেকেই অপারেশন সার্চ লাইট থেকেই বুদ্ধিজীবীদের তালিকা তৈরি ও হত্যা করা শুরু হয়। ১৯৭১ সনের ৪ ডিসেম্বর ঢাকায় কারফিউ জারি করা হয় এবং ১০ থেকে ১৪ ডিসেম্বর তালিকা ধরে বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।’প্রধান অতিথি আরও বলেন, ‘বাঙালি জাতিকে মেধা ও নেতৃত্ব শূণ্য করতেই পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। এদেশকে পরনির্ভরশীল করে রাখতে এবং কখনও যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে সেই লক্ষ্যেই তারা এই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায়।
‘ন ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এ এইচ এম কামাল ও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান। আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কলা অনুষদের ডিন ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চারুকলা অনুষদের ডিন ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উদযাপন কমিটির সদস্য-সচিব প্রফেসর ড. তপন কুমার সরকার। আলোচনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. সাখাওয়াত হোসেন সরকার, প্রক্টর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) ড. মো. আশরাফুল আলম, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম এবং বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মো. হাবিব-উল-মাওলা (মাওলা প্রিন্স)। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. বখতিয়ার উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট প্রফেসর ড. মো. সাইফুল ইসলাম, বঙ্গমাতা হলের প্রভোস্ট হাবিবা সুলতানা, অগ্নি-বীণা হলের প্রভোস্ট মো. হারুনুর রশিদ, দোলন-চাঁপা হলের প্রভোস্ট লাইলী আক্তারসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন মো. মাজহারুল হোসেন তোকদার।