কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন: “বাবর প্রেমিক আমরা সকলেই। তার জন্য কি রক্ত দিতে পারবেন? এটাই বড় কথা। তার মুক্তি দিতে যদি দেরি হয়, প্রয়োজন ও দরকার হলে বিএনপি’র সকল সিনিয়র নেতৃত্বেবৃন্দসহ নেত্রকোনার সকল বাবর প্রেমিকদের নিয়ে আমরাও রক্ত দিতে প্রস্তুত। বাবর হলেন এই বাংলার সিংহ পুরুষ। বাবর যদি মন্ত্রীত্ব না পেতেন। তাহলে মদন-খালিয়াজুরীতে পানির নিচ দিয়ে রাস্তা হতো না।”
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে নেত্রকোনা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে জেলার কৃতি সন্তান মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুর-মদন এলাকার গণমানুষের নেতা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সাবেক প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা বিএনপি’র আহবায়ক ডা. আনোয়ারুল হকের সভাপতিত্বে এসব কথা বলেন সাবেক সাংসদ ও জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ উদ্দিন খান।
তিনি আরো বলেন, “লুৎফুজ্জামান বাবর আমাদের বর্তমান তারুণ্যের প্রতীক তারেক রহমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ট সহযোগ ছিলেন। ইনশাল্লাহ, সম্মানের সহিত তারেক রহমান যেমন ঢাকায় ফিরে আসবেন। ঠিক সেভাবেই আমাদের বাবর সাহেবও ঢাকা থেকে নেত্রকোনায় ফিরে আসবেন।”
এ বিক্ষোভ সমাবেশটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক তাজেজুল ফারাস সুজাত ও এসএম মনিরুজ্জামান দুদু তারা দুজনে।
অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম হিলালী, সাবেক সভাপতি অ্যাড. নুরুজ্জামান নুরু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের তালুকদার, জেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক অ্যাড. মাহফুজুল হক, সদর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মো. মজিবুর রহমান খানসহ জেলা ও উপজেলার বিএনপি এবং এর অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃবৃন্দ।
বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু আগে জেলার দশ উপজেলা ও নেত্রকোনা পৌরশহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে কারাবন্দি লুৎফুজ্জামান বাবরের দ্রুত মুক্তির দাবি সম্বলিত ব্যানার নিয়ে বিভিন্ন স্লোগানসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হন এবং সমাবেশে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে।