শব্দদূষণ আধুনিক শহর জীবনের এক বড় সমস্যা। নগরায়ন ও শিল্পায়নের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে শব্দদূষণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। যানবাহনের অপ্রয়োজনীয় হর্ন, নির্মাণকাজ, লাউডস্পিকার এবং বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান শব্দদূষণের প্রধান উৎস। এই সমস্যা মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে।
শহর কিংবা গ্রাম সবখানেই এখন শব্দদূষণ। অতিমাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে মাইকে বিভিন্ন ধরনের প্রচার-প্রচারণা। রাজধানী ঢাকাসহ সকল শহর-গ্রামগঞ্জে বাসাবাড়িতে থাকা অবস্থায়, রাস্তাঘাটে চলাচল করার সময় শব্দদূষণের অত্যাচারে টেকা দায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর মতে, স্বাভাবিক শব্দের সহনীয় মাত্রা ৫৫-৬০ ডেসিবেল। কিন্তু ঢাকার মতো শহরে এটি ৮৫ থেকে ১২০ ডেসিবেল পর্যন্ত পৌঁছে যায়। শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশেই এই শব্দদূষণে আক্রান্ত । এই মাত্রার শব্দ দীর্ঘমেয়াদে মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এটি শ্রবণশক্তি হ্রাস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগ, এবং মানসিক চাপের কারণ হতে পারে। শিশু ও বয়স্করা শব্দদূষণের প্রতি বেশি সংবেদনশীল।
শব্দদূষণ শুধু মানুষের ওপরই নয়, প্রাণীজগতেও বিপর্যয় সৃষ্টি করছে। শহরের উচ্চ শব্দ বন্যপ্রাণীদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে। এটি প্রাকৃতিক পরিবেশে ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে।