উবায়দুল্লাহ রুমি, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ১১টি ইউনিয়নে প্রতিটি ওয়ার্ডে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) উপকার ভোগীদের তালিকা প্রণয়নে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, ইতোপূর্বে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি মনোনীত চেয়ারম্যানগণ দলীয় লোকদের দিয়ে যে তালিকা করে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ছিলেন। সেই তালিকাই বহাল থাকছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলেও সেই চেয়ারম্যান ও তাদের লোকদের দিয়েই নতুন করে তালিকা করা হচ্ছে। এতে জনপ্রতিনিধি ও তাদের সহযোগীদের স্বচ্ছল স্বজনেরাই সুবিধার তালিকায় এগিয়ে রয়েছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে দলীয় বিবেচনায় এসব কার্ড দেওয়া হলেও এখনো সেই পুরনো তালিকা বহাল আছে। আর যে দু’য়েকটা নতুন নাম এসেছে সেগুলোও চেয়ারম্যানদের পছন্দের তালিকা থেকেই এসেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। টিসিবির উপকারভোগীদের তালিকা প্রণয়নে অনিয়ম হচ্ছে বলে অভিযোগ করে এর তীব্র প্রতিবাদ করেছেন উপজেলার তারুন্দিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নুরুল হক। তিনি বলেন, তারুন্দিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রানার পছন্দে ওই তালিকাই হয়েছে। তালিকায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের নাম রয়েছে। আঠারবাড়ি, মাইজবাগ, সরিষা, বড়হিত ও ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়নের লোকজন অভিযোগ করে বলেন, ইতোপূর্বে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের কাছে থেকে টিসিবির তালিকা করা হতো। আমরা জানতে পেরেছি উনারা (চেয়ারম্যানগণ) এখনও আওয়ামী লীগের লোকদের কাছ থেকে টিসিবির উপকারভোগীদের তালিকার নাম নিচ্ছেন। এতে ঘুরেফিরে পুরনো তালিকায় থাকা লোকজনই আবারও তালিকায় থেকে যাচ্ছেন। যার ফলে বঞ্চিত হচ্ছে অসংখ্য হতদরিদ্র মানুষ। জানা যায়, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ১১টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর সভায় প্রায় ১৯হাজার ৭শ ৪৮টি উপকারভোগীদের তালিকা রয়েছে। প্রত্যেক কার্ডধারীর আওতায় ৭০ টাকা দরে এক কেজি চিনি, ৬০ টাকা দরে মসুর ডাল ও ১০০ টাকা দরে ১ লিটার সয়াবিন তেল বরাদ্দ রয়েছে। কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে টিসিবির তালিকার বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলে তারা কেউ এ বিষয়ে কথা বলতে চাননি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সারমিনা সাত্তার বলেন, সার্ভার সমস্যার কারণে নতুন তালিকা করা সম্ভব হচ্ছেনা। তাই পুরনো তালিকাই বহাল আছে। নতুন তালিকা প্রস্তুত আছে সার্ভার সমস্যার সমাধান হলে দ্রুত তা কাযর্কর করা হবে।#