মনিরুজ্জামান খান গাইবান্ধা: গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি জামায়াতের সংঘর্ষের ঘটনায় আহত-১৩ ভাংচুর- অগ্নিসংযোগ।বিএনপি-জামায়াতের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এসময়ে বেশকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এসময় পলাশবাড়ী উপজেলা গেটের আসে পাশে আতংক ছড়িয়ে পড়ে । ভাঙচুর করা হয়েছে সাংবাদিকের গাড়িসহ ৮টি মোটরসাইকেলও কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘাত চলে এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল ছুঁড়লে ছাত্রদলের সভাপতি পথচারী ও ব্যবসায়ীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া যায় । (২০ নভেম্বর) বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পলাশবাড়ী উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সূত্রপাত হয়। পরে উভয় দলের নেতাকর্মীরা জড়ো হলে চৌমাথা মোড়ে ঘটে ধাওয়া-পাল্টা। এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার ঘটে । পরে দেশীয় অস্ত্রহাতে চৌমাথা মোড়ের রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে মহড়া দেয় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। ঘটনার খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে সেনাবাহীনির সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে। এসময় নেতাকর্মীরা সড়ক থেকে সরে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মহদীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জামায়াতপন্থী রাহিদুল ইসলাম বাবুর বিরুদ্ধে পরিষদের সদস্যদের অনাস্থা প্রস্তাব ঘিরে বিএনপি-জামায়াতের দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের বিরোধের কারণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এদিকে, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘট্নায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পথচারীসহ অনেকেই ছোটাছুটি করতে থাকেন। এসময় দ্রুত দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেন ব্যবসায়ীরা। তবে ঘটনার সময় পুলিশকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের তবে সেনাবাহিনী আসার পরেই পাল্টে যায় চিত্র । নিয়ন্ত্রণে নেয় পুরো এলাকা। পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকার কথা জানিয়ে পলাশবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ জুলফিকার আলী ভুট্টো জানান, বর্তমানে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টহল জোরদারের পর থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় রাত সোয়া ৯টা পর্যন্ত কোনো দলের পক্ষ থেকে কেউ অভিযোগ করেনি বলে থানা সূত্রে জানা যায় ।