কে.এম. সাখাওয়াত হোসেন: নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলায় শুনই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে এক ব্যক্তিকে অর্থদন্ড প্রদান এবং এর সাথে জড়িত থাকার অপরাধে আরো তিন ব্যক্তিকে মুচলেকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২০ নভেম্বর) রাতে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে এমন ধরনের সাজা প্রদান করেন আটপাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিলুফা ইয়াসমিন নিপা।
ভ্রাম্যমান আদালতে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন মো. মিনারুল ইসলাম (২৫)। তিনি আটপাড়ার মোবারকপুর গ্রামের মো. সাইকুল ইসলামের ছেলে।
মুচলেক দেওয়া ব্যক্তিরা হলেন, জেলার আটপাড়ার গাভুরকাছ গ্রামের মো. সেলিমের ছেলে মো. ইবাদুল ইসলাম (২২) ও সদর উপজেলার বাইশদার গ্রামের পরিতোষের ছেলে হৃদয় (২৫) এবং কিশোরগঞ্জে বাজিতপুর উপজেলার জয়নতপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাই এর ছেলে আবুল কাশেম (৪৮)।
বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও নেত্রকোনা সদর ক্যাম্পের মেজর নাজমুজ সাকিব।
তিনি জানান, বুধবার রাত ৯টার দিকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আটপাড়ার বুগাপাড়া এলাকায় শুনই নদীতে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের খবর পাওয়া যায়। এমন তথ্যে নেত্রকোনা ক্যাম্প থেকে ঘটনাস্থলে একটি সেনা টহল দল পাঠানো হয়।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের জন্য চারজনকে আটক করে সেনা দলটি।
পরে উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অবহত করা হলে এসিল্যান্ড নিলুফা ইয়াসমিন নিপা কর্তৃক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে তাদের তিনজনের কাছ থেকে মুচলেকার নেওয়া এবং আরেকজনকে অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। পরে তারা ছাড়া পান।
এই ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ড রোধে সেনাবাহিনীর টহল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই সেনা কর্মকর্তা।