নিজস্ব প্রতিবেদক: জল মটরসহ সরকারি টিউবওয়েল দেওয়ার কথা বলে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গণমাধ্যমকর্মী ও জাপা নেতা মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে শফিকের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে নেত্রকোনার মদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন উপজেলার গোবিন্দ্রশ্রী ইউনিয়নের মনিকা গ্রামের জিয়াউর রহমানের স্ত্রী মোছা. তামান্না আক্তার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে শফিক তিনি মদন উপজেলা ‘জাতীয় পার্টি’র (জাপা) সাধারণ সম্পাদক ও ‘দৈনিক আমাদের সময়’ পত্রিকার মদন উপজেলা প্রতিনিধি। তিনি মদন পৌরসভার মনোহরপুর এলাকার ছনু মিয়ার ছেলে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরের দিকে ভারপ্রাপ্ত ইউএনও’র দায়িত্বে থাকা মদনের সহকারি ভূমি কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) মো. রেজোয়ান ইফতেকার জানান, আজই অভিযোগটি আমার কাছে হস্তগত হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্তের সুপারিশের প্রেক্ষিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এরআগের দিন মঙ্গলবার লিখিত অভিযোগটি ইউএনও’র কার্যালয়ে জমা দেন ভুক্তভোগী তামান্না আক্তার। প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য প্রথমে গণমাধ্যমকর্মী শফিককে এবং পরে ইউএনও’র বক্তব্য নেওয়ার কিছুক্ষণ পরে ভুক্তভোগী মোবাইলে প্রতিবেদককে জানান গ্রামের মাতব্বরদের চাপে অভিযোগটি তিনি তুলে নিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভু্ক্তভোগী মোছা. তামান্না আক্তার ও মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে শফিক তারা দুজনে পূর্ব থেকে পরিচিত। এই সুবাদে বিগত বছর অক্টোবরের ১০ তারিখ শফিক মোবাইল ফোনে ভুক্তিভোগীকে জানান জল মটর দিবে তারাতারি টাকা নিয়ে আসেন। ভুক্তভোগী শফিককে বলেন আমার কাছে টাকা নেই। শফিক ভুক্তভোগীকে আরো বলেন যেভাবে পারেন টাকা নিয়ে আসেন। পরবর্তীতে ঋণ করে ২৫ হাজার টাকা সাংবাদিক শফিকের কাছে হস্তান্তর করি। এখন পর্যন্ত টিউবওয়েল পাননি বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী।
এ ব্যাপারে মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে শফিক বলেন, অভিযোগকারী চাঁনগাও ইউনিয়নের আনোয়ার মেম্বারকে টাকা দিয়েছে। আমি এর স্বাক্ষী ছিলাম। তবে অভিযোগ যেটা করছে এটা যেকোন ষড়যন্ত্র হতে পারে। তার (অভিযোগকারী) কাছে এমন কোন স্টেটমেন্ট আছে বলে আমার বিশ্বাস হয় না এবং ডকুমেন্ট দেখাতে পারবে না। অন্যায় কোন কাজ আমি করি না। কেউ বলে ফেললো তার কাছে কি এভিডেন্স আছে জেনে নেবেন। যদি পান আপনি (প্রতিবেদক) আপনার মতো তদন্ত করে দেখতে পারেন। এতে আপত্তি নেই।
এই নিয়ে মেম্বার আনোয়ারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগকারী মহিলার সাথে আগে থেকে যোগযোগ ও পরিচয় নাই। শফিকের সাথে ওই মহিলার পূর্ব থেকে পরিচয় আছে বা হয়তোবা থাকতে পারে। শফিক হয়তো ঝামেলায় পড়ে আমার শ্বশুরবাড়ি এলাকার মহিলা ভেবে মনে করেছে, আমার নাম এখানে জড়াইলে আমার দ্বারা তার উপকার হবে। বিষয়টা এরকম হতে পারে। আমার পরিচয় দিয়ে কেউ যদি সুবিধা নেয় এটা আমার দেখার বিষয় না। তাছাড়া অভিযোগকারী তিনি তো আমার ইউনিয়ন বা ওয়ার্ডের কেউ নন। অন্য ইউপি’র একটি ওয়ার্ডের মেম্বার হয়ে আরেক ইউনিয়নে টিউবওয়েল সুবিধা দিতে পারে কিনা তা ভাল করে বিচার বিশ্লেষন করলেই আপনি (প্রতিবেদক) প্রকৃত সত্যটা খুঁজে পাবেন।