জবি প্রতিনিধি
সাধারণ শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবির সঙ্গে একমত বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিমের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে একথা জানিয়েছেন শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আসদুজ্জামান আসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা।
সাক্ষাতের প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান আসলাম, ‘আমাদের উপাচার্য আজ মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে যাবেন। তার আগে আমরা আমাদের কয়েকটি দাবি উপাচার্যকে জানিয়েছি। এরমধ্যে একটি হলো আগামী এক মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব উদ্যোগে কমপক্ষে তিন হাজার শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থার উদ্যোগ নিতে হবে। যেনো জানুয়ারির ১ তারিখে শিক্ষার্থীরা উঠতে পারে। আর দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নোটিশ জারি করে কারা হলে উঠবে সেটারও তালিকা প্রস্তুত করতে হবে। উপাচার্য মহোদয়ও আমাদের বাস্তবায়নে কাজ শুরুর কথা জানিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে আমরা একমত। তাদের আন্দোলনে আমাদের পূর্ণ সমর্থন আছে। আমাদের নেতাকর্মীরাও আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। তবে আমরা নেতারা কৌশলগত কারণে আন্দোলনে সরাসরি অংশ নিইনি। কারণ জগন্নাথ ছাত্রদল সুপার ইউনিট, আমরা অংশ নিলে আন্দোলন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার সুযোগ ছিলো। তাই আন্দোলনকে গতিশীল রাখতে আমরা স্বশরীরে অংশ নিইনি।’
শাখা ছাত্রদলের সভাপতি বলেন, ‘অনেকেই বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে যে, আমরা চাই না ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে যাক। আমরা উপাচার্য মহোদয়কেও এবিষয়ে অবহিত করেছি, আমরাও চাই দ্রুত ক্যাম্পাসের কাজ শেষ হোক। সেক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে হবে নাকি অন্যকোনো মাধ্যমে আমাদের দেখার বিষয় না। আমাদের কথা দ্রুত কাজ হতে হবে। যেনো শিক্ষার্থীদের সংকটগুলো দ্রুত দূর হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা উপাচার্যকে আসস্ত করেছি, শাখা ছাত্রদলের কোনো নেতাকর্মী আর্থিক অনিয়মে যুক্ত হবে না। আমরা আমাদের জায়গা থেকো সতর্ক আছি। এরপরও কেউ জড়িত থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা এবং শাখা ছাত্রদলও কঠোর ব্যবস্থা নিবে। সাংবাদিক ভাইদের কাছে আমাদের অনুরোধ আপনারাও খেয়াল রাখবেন। এই ক্যাম্পাসকে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় করেছেন। আমরা উপাচার্য মহোদয়কে আশস্ত করেছি আমাদের জায়গা থেকে পূর্ণ সহযোগিতা থাকবে।’
এসময় জবি ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান হিমেল, মাইনুদ্দীন চৌধুরী, সহ-সভাপতি ইব্রাহিম কবির মিঠুসহ, সাংগঠনিক সম্পাদক সামসুল আরেফিন, প্রচার সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রুমিসহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।