নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জিমনাস্টিক বিভাগের চিফ কোচ মর্জিনা বেগম ও পরিচালক প্রশিক্ষণ কর্নেল মিজানুর রহমানের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। আজ শনিবার ( ২৬ অক্টোবর) সকাল ১১টায় ঢাকা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিমনাস্টিক বিভাগের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা দাবি করে জিমনাস্টিক বিভাগের প্রধান কোচ মর্জিনা বেগম একজন অর্থলোভী এবং অদক্ষ কোচ। দুর্নীতির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা এবং অনিয়ম করে জিমন্যাস্টিক বিভাগ থেকে শিক্ষার্থী ছাটাই করার অভিযোগ করেন বক্তারা। শিক্ষার্থীদের পারিবারিক অবস্থা খারাপ হলে সেটা নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
রাজনৈতিক প্রভাব ও নিজের ব্যাক্তিগত বলয় সৃষ্টি করেছেন তিনি। এছাড়া সংস্থার আরেকজন কর্মকর্তা কর্নেল মিজানুর রহমান তাকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করার অভিযোগ করেন তারা।জিমনাস্টিক বিভাগের একজন ভুক্তভোগ শিক্ষার্থী সুরারাইয়া শিকদার এশার বাবা খবির শিকদার দাবি করেন, তার মেয়েকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে অসুস্থ্য করা হয়েছে। প্রধান কোচ মর্জিনা বেগমের ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার হয়ে তার মেয়েকে জিমনাস্টিক বিভাগ থেকে ছাটাই করার নোটিশ ফেসবুকের মাধ্যমে জানানো হয়েছে।
তিনি এই নোটিশ অস্বীকার করেন এবং তা ব্যক্তিগত আক্রোশ বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, এর আগে ডিজি মহোদয় বরাবর লিখিত অভিযোগ করলেও মর্জিনা বেগমের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যাবস্থা বিকেএসপির গ্রহণ করে নাই। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দিনের পর দিন তিনি অনিয়ম করে যাচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।
অন্য বক্তারা বলেন পরিচালক কর্নেল মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ রয়েছে এবং যথোপযুক্ত প্রমাণ আছে বলে তারা দাবি করেন। অবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত করে এই দুই কর্মকর্তাকে অপসারণ করার দাবি করে তোলেন তারা।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন,সামিউল ইসলাম (বক্সিং ৯৯), জর্জিস আনোয়ার নাইস(কারাতে-১০৫), রিদওয়ানুল হাসান (অ্যাথলেটিক্স ৫১৬৫), রাশেদুল ইসলাম – কোচ (টেনিস ৩৫), সিয়াম হোসেন দেশ (কারাতে ৩৬) মো: নুর হাবিব তুষার (কারাতে-৩৬), রামিম হোসেন (হকি-৩৪৮), সুরাইয়া শিকদার ইলা (জুডো), মিলন হোসেন (৪র্থ শ্রেনি কর্মচারী), রিফাত হোসেন (ভলি-২৫), ফয়সাল আহাম্মেদ (সাতার-২১), আসিফ আলি (করাতে-২০), তবিব এ নূর (হকি-৮৭), তন্ময় আলী (জুডো-১৯), মো: শামসুদ্দোহা সৌরভ (জুডো-৩০)।
এছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীরাও চিফ কোচ ও পরিচালকের পদত্যাগের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।