বাঁশখালী প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বাঁশখালী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডস্থ প্রবাসী রুহুল আমিনের দুই তলা বিশিষ্ট বসতঘরে দীর্ঘদিন যাবৎ কিছু স্থানীয় লোক চাঁদা আদায় করে আসতেছে। এই বিষয়ে প্রবাসী স্ত্রী সুমি আক্তার নিরুপায় হয়ে বাঁশখালী’র সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত একটি মামলা দায়ের করে।
বর্তমানে মামলাটি চট্টগ্রাম ডিবি ওসি’র নিকট তদন্তাধীন রয়েছে। মামলার বাদী সুমি আক্তার জানায়, আমার স্বামী প্রবাসে থাকে আমি দুই সন্তান নিয়ে একটা জমি ক্রয় করে বিল্ডিং করেছি।
বিল্ডিং করার সময় থেকে এলাকার ছৈয়দুল আলম জাফর,আক্তার আহমেদ, ওসমান গণি, মোহাম্মদ জামিল, এবং ছৈয়দুল আলম জাফর এর স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার সহ মিলে বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করতো এবং বিল্ডিং করার সময় তারা তাদের মত প্রতিটা জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে বাড়িয়ে কনস্ট্রাকশনের জিনিস পত্র সরবরাহ করার জন্য বাধ্য করতো।
কোন রকমে বিল্ডিং করার পরে এখন সর্বশেষ সিঁড়ি ব্যবহার করার জন্য চাঁদা দিতে না পারায় আমাদের চলাচলের একমাত্র সিঁড়ি ভেঙ্গে দিল। আমার দুইটা বাচ্ছা স্কুলে যাওয়া আশা করে জীবন ঝুঁকি নিয়ে।
এখানে শেষ নয় আমাদের পানি ট্যাং ছিদ্র করে দিল অনেক সময় আমাদের ঘরের বাহিরের দরজায় তালা মেরে দিত আমরা অনেক বার ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সহয়োগিতায় উদ্ধার হয়েছি এবং বাড়ির প্রধান দরজায় সামনে ওয়াল দিয়ে দিচ্ছে আমি এটার বিচার চাই।
অন্য দিকে অভিযুক্ত ছৈয়দুল আলম জাফর এর সাথে মুঠোফোন কল দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এই বিষয়ে বাঁশখালী থানার ওসি তদন্ত সুদাশু শেখর হালদার মুঠোফোন বলেন, প্রবাসী স্ত্রী সুমি আক্তার ৯৯৯ এ কল দিলে আমরা থানা পুলিশ বিভিন্ন সময় একাধিক বার উদ্ধার করেছি।
তবে স্থানীয় কিছু লোকজন বিভিন্ন সময় তাদের বিরক্ত করতো। অন্য দিকে প্রবাসীর স্ত্রী আদালতে মামলা করেছে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী কর্মকতা যদি আমাদের থেকে তথ্য নিয়ে সহয়োগিতায় চায় আমরা সহয়োগিতা করবো।