নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে দেশের কবিদের জাতীয় প্লাটফর্ম ‘জাতীয় কবিতা পরিষদ’ পুনর্গঠন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠাকালীন আদর্শ ও লক্ষ্যকে বুকে ধারণ করে সংগঠনটিকে এগিয়ে নিতে ও আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় কবিতা উৎসব আয়োজনের লক্ষ্যে কবি মোহন রায়হানকে আহ্বায়ক ও রেজাউদ্দিন স্টালিনকে সদস্য সচিব করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি এডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার ( ১৪ আগস্ট২০২৪ ) ঢাকাস্থ বাংলা মোটরের কাজল মিলনায়তনে প্রতিষ্ঠাকালীন সংগঠকদের নেতৃত্বে কবি ও কবিতা প্রেমিদের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তারা জাতীয় কবিতা পরিষদের প্রতিষ্ঠার পটভূমি ও পরবর্তী সময়ে জবরদখল, অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী কার্যকলাপের পর্যালোচনা করেন এবং সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় কবিতা পরিষদ পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগ ও বিস্ময়ের সঙ্গ লক্ষ্য করলাম যে, তৎকালীন স্বৈরাচার ও অগণতান্ত্রিক সরকারবিরোধী আন্দোলনের পটভূমিকায় জন্ম নেওয়া জাতীয় কবিতা পরিষদ ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান ও ছাত্রজনতার নৃশংস ও নজিরবিহীন হত্যাকাণ্ডের সময় নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।
অর্থাৎ জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে জাতীয় কবিতা পরিষদ তাদের দায়িত্ব পালনে ন্যাক্কারজনকভাবে শুধু ব্যর্থই হয়নি স্বৈরাচারের সব অপকর্মের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে। এ অবস্থায় জাতীয় কবিতা পরিষদ তাদের মৌলিক অঙ্গীকার রক্ষা ও কলঙ্কিত অধ্যায়ের দায় মোচনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এ পরিপ্রেক্ষিতে নব্বইয়ের স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা সংগঠনটিকে আর কোনো স্বৈরাচারের তল্পিবাহক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত না করার দৃষ্টান্ত স্থাপনের উদ্দেশ্যে বর্তমান নেতৃত্বকে প্রত্যাখ্যান করে ২৫ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- আবু সালেহ, মতিন বৈরাগী, হাসান হাফিজ, ড. সলিমুল্লাহ খান, গোলাম শফিক, শাহীন রেজা, ইরাজ আহমেদ, কামরুল হাসান, জাহানারা পারভীন, ড. কুদরত-ই-খোদা, শ্যামল জাকারিয়া, ড. মানব সুরত, শওকত হোসেন, নূরুন্নবী সোহেল, এবিএম সোহেল রশীদ, রোকন জহুর, সুমনা নাজনীন, কামরুজ্জামান, লুৎফুল বাবু, আসাদ কাজল, আলমগীর নিষাদ, ইমরান মাহফুজ ও সীমা ইসলাম।