স্বীকৃতি বিশ্বাস, যশোরঃ
বাংলাদেশের চলমান সংখ্যালঘু নির্যাতন,জায়গাজমি দখল,বাড়িঘর,মঠ-মন্দিরে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপকহারে লুটপাটের প্রতিবাদে সারা দেশের ন্যায় যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার হরিদাশকাটি ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী হাজিরহাট বাজারে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার ৯৬ গ্ৰাম সনাতনী সুরক্ষা মঞ্চ এ প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনের আয়োজন করে।
দীপংকর মল্লিকের সঞ্চালনায় ও নির্মাল কুমার রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ যশোর জেলার সভাপতি দীপংকর দাস রতন,সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ, শিবপদ বিশ্বাস প্রমূখ।
সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেননিউটন মন্ডল( আয়কর আইনজীবী)ও সুব্রত বিশ্বাস, উত্তম বিশ্বাস,শান্তনু মল্লিক,সাওন মল্লিক,প্রান্ত মন্ডল, তপন রায়, রবি বিশ্বাস, হৃদয় রায় শুভ রায় , অভিজিৎ ,মিলন মন্ডল, দেবাশীষ বিশ্বাস, বাপ্পি রায় প্রমূখ।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদ যশোর জেলার সভাপতি দীপংকর দাস রতন বলেন, ‘কোনো সরকারই হিন্দু হত্যার বিচার করেনি। বিচার না করার কারণে আজ হিন্দুদের ঘরবাড়ি, মন্দির ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট হচ্ছে।
আমাদের নিজেদের অধিকার নিজেদেরই আদায় করে নিতে হবে। আমরা এ দেশের বাসিন্দা, কোনো অবস্থাতেই আমরা এ দেশ ত্যাগ করব না।’
সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ বলেন, ‘নিজেদের জানমাল আর সম্ভ্রম রক্ষায় আমরা কয়েক দিন ধরে দিন-রাত পাহারা দিয়ে যাচ্ছি। সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দোষীদের দ্রুততম সময়ে উপযুক্ত শাস্তি, ক্ষতিগ্রস্তদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন, সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন এবং হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে।
এতে মনিরামপুর ও অভয়নগর উপজেলার হিন্দু অধ্যুষিত ৯৬ গ্রামের (৯৬ গ্রাম নামে পরিচিত) দুই সহস্রাধিক বিক্ষোভকারী অংশ নেন।
৯৬ গ্ৰামের বিভিন্ন জায়গায় থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ স্লোগান দিতে দিতে দলে দলে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো ‘তুমি কে তুমি কে, বাঙালি বাঙালি’, ‘আমার দেশ সবার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’, ‘আমার ঘরে হামলা কেন, জবাব চাই, জবাব দাও’, ‘সনাতনীর ওপর আক্রমণ, মানি না মানব না’, ‘জাগো জাগো নিজে জাগো, নিজের জন্মস্থান নিজে রক্ষা করো’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না।