কে. এম. সাখাওয়াত হোসেন: দ্যা মেইল বিডি ডটকমে সংবাদ প্রকাশের দুদিনের মধ্যে নেত্রকোনার মদন উপজেলা ভূমি (এসিল্যান্ড) অফিসের হদিস না পাওয়া মিসকেস নথির ভুক্তভোগীরা কাঙ্খিত সেবা পেলেন। প্রতিবেদন প্রকাশের পর টনক নড়ে কর্তৃপক্ষের। অবশেষে ভুক্তভোগীরা দীর্ঘ প্রায় সাত-আট মাস পর এসিল্যান্ড অফিস থেকে মিসকেস মামলার আদেশের কপি হাতে পাবার মতো কাঙ্খিত সেবা পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ভুক্তভোগী লাহুত মিয়া জানান, গতকাল বুধবার (১০ জুলাই) বর্তমান এসিল্যান্ড মহোদয় মিসকেস মামলায় আমার অংশ খারিজ করে আদেশের কপি প্রদান করেছেন। আপনার (প্রতিবেদক) সংবাদের প্রকাশের প্রেক্ষিতে বিষয়টি দ্রত সুরাহা পেয়েছি। আমার মতো আরও তিন-চারজন ভুক্তভোগীর মিসকেস মামলার সমাধান হয়েছে। গত সাত-আট মাস যখনই ভুমি অফিসে যোগাযোগ করি তখনই অফিস সহকারি চন্দন মিয়া বলেছে আগের এসিল্যান্ড স্যার নথি নিয়ে গেছে।

উপকোরভাগীরা হলেন- উপজেলার গোবিন্দশ্রী গ্রামের মো. লাহুত মিয়া, কুলিয়াটি গ্রামের মোছা. জয়নব, পদমশ্রী গ্রামের মোনায়েম চৌধুরী ও জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের মাগরিবুল রহমান।

এ বিষয়ে মদন ভুমি অফিসের এসিল্যান্ড এ.টি.এম. আরিফকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলে তিনি প্রতিবেদকের ফোন ধরেননি।

নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ বলেন, সিনিয়র সহকারি সচিব মো. শাহনুরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। এর জবাবের প্রেক্ষিতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

সিনিয়র সহকারি সচিব মো. শাহনুরকে হোয়াটস অ্যাপে খুদে বার্তা পাঠিয়ে ও অনেকবার ফোন করে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে গত ৮ জুলাই প্রতিবেদককে তিনি বলেছিলেন, বদলী হয়ে চলে আসছিলাম। কিছু আদেশ পেন্ডিং ছিল। সেগুলোর আদেশ তো দিতে হবে। পরে বদলীজনিত কারণে দায়িত্ব হস্তান্তরের সময় নথিগুলো না বুঝিয়ে পুরাতন কর্মস্থলের রায় নতুন কর্মস্থলে লেখা যায় কিনা প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নে তিনি আরও বলেছিলন, ঠিক আছে এই বিষয়ে অফিস সহকারির সাথে কথা বলছি। পরে ফোন দিয়ে জেনে নেবেন।

উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই “হদিস নেই মদন ভুমি অফিসের ভুক্তভোগীদের মিসকেসের নথি” শিরোনামে দ্যা মেইল বিডি ডটকম অনলাইন নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রকাশিত হয়।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version