সোয়াইব আলী, জবি প্রতিনিধি :
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে আবারও রাস্তায় নেমেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। সর্বাত্মক আন্দোলন করে রাস্তা অবরোধ করে, যারফলে যানচলাচল স্থবির হয়ে পরে।
বুধবার (৩ জুলাই) বেলা ২ টা ৩০ মিনিটে সরকারি চাকরিতে কোটা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যানারে প্রতিবাদ মিছিল বের করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। এসময় কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরাও মিছিলে অংশগ্রহণ করে।
প্রতিবাদ মিছিলটি বাংলাবাজার মোড় থেকে বের হয়ে রায়সাহেব বাজার হয়ে তাঁতিবাজার মোড় অবস্থান করে। এসময় তারা রাস্তা অবরোধ করে, যার ফলে তাঁতিবাজার মোড় থেকে পল্টন পর্যন্ত যান চলাচল স্থবির হয়ে পরে। এরপর মূল ফটকের সামনে এসে মিছিলটি শেষ হয়। এরপর প্রতিবাদ মিছিলটি রায়সয়াহেব বাজার মোড় হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেয়।
এসময় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় ঠাঁই নাই’, ‘মেধাবীদের কান্না আর না আর না’, ‘কোটাবৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘কোটা প্রথায় নিয়োগ পেলে, দুর্নীতি বাড়ে প্রশাসনে’, ‘মেধাবীদের যাচাই করো, কোটাপদ্ধতি বাতিল করো’,’আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠো আরেকবার’,‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’ মেধাবীরা ভয় নাই, রাজপথ ছাড়িনাই, বাতিল বাতিল বাতিল চাই, কোটা প্রথা বাতিল চাই ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
এসময় শাহীনুর ইসলাম সান বলেন, ‘আমাদের কোনোদিনও ইচ্ছে ছিলো না রাস্তায় নামার। আমরা দীর্ঘদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছি। সেই বৈষম্যের প্রতিবাদে আজকে রাস্তায় নেমেছি। আর কদদিন আমাদের বৈষম্যের শিকার হতে হবে? বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। যে রাষ্ট্রের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী নিম্ন মধ্যবিত্ত। আমাদের একটি সরকারি চাকরির দরকার, সেখানে আমরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। আমরা এই বৈষম্যের প্রতিবাদ জানাই।’
আন্দোলনে মাসুম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, বৈষম্যের শিকার হয়েই আমরা স্বাধীনতা আন্দোলন করেছি। কিন্তু স্বাধীনতার ৫২-৫৩ বছর পরে এসেও দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে। একজন রিক্সাচালক, একজন চা বিক্রেতা কঠোর পরিশ্রম করে সন্তানকে স্নাতক পড়াচ্ছে, কিন্তু সে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন কোটার জন্য বঞ্চিত হচ্ছে।
এসময় মেহেরুন নেসা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, আজকের বিশ্বে, আজকের দেশে এই সময়ে নারীরা পিছিয়ে নেই। আমরা নারীররাও মেধাবী। বর্তমান সময়ের নারীকোটাসহ যত অযৌক্তিক কোটা আছে, সকল কোটা বাতিল করা হোক।