আরিফ শেখ, রংপুর প্রতিনিধিঃ
কুয়েত ও সৌদি আরব দূতাবাসের কর্মকর্তাদের প্রতারণায় নিঃস্ব হওয়ার অভিযোগ এনে রংপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রবাসী বিপুল মিয়া। মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে মিঠাপুকুর মাঠেরহাট গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের ছেলে বিপুল মিয়া জানান, ২০০৪ সালে বৈধভাবে কুয়েতে গিয়ে ওতাইবি কোম্পানীতে লাইট জেনারেল ওয়ার্কার হিসেবে কাজ করেন বিপুল। মাসিক বেতন ৬০ দিনারের চুক্তি হলেও কোম্পানি তাকে দিত ৪৫ দিনার। ২০১০ সালে বিপুল মিয়া তার পাসপোর্টে আকামা লাগিয়ে অন্যত্র কাজ করার জন্য ওই কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে জানায়। এতে কোম্পানি তাকে সহযোগিতা না করে ওই কোম্পানীতেই কাজ করাতে বাধ্য করে। উপায় না পেয়ে পাওনা টাকা পরিশোধের জন্য বিপুল মিয়া কোম্পানীর বিরুদ্ধে মামলা করলে আদালত তার পক্ষে রায় দেয় এবং কোম্পানি আদালতের মাধ্যমে তাকে টাকা পরিশোধ করে। কিন্তু কোম্পানি ও কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা যোগসাজশ করে বিপুল মিয়ার পাসপোর্ট আটকিয়ে রাখে। এরপর বিপুল কুয়েতে ফ্রেশ প্রিন্টিং, প্যাকেজিং ও কার্টুনের ব্যবসা শুরু করে। এর মধ্যে হঠাৎ একদিন কুয়েত পুলিশ এসে বিপুলকে আটক করে এবং ওতাইবি কোম্পানি ও বাংলাদেশী দূতাবাসের কর্মকর্তাদের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে টাকা আত্মসাতের জন্য অবৈধভাবে বিপুল মিয়ার স্বাক্ষর জাল করে তাকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এতে করে বিপুল মিয়া প্রায় ১৮ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সেই সাথে দূতাবাস চিরদিনের জন্য তাকে কুয়েতে প্রবেশ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে বিপুল মিয়া সৌদি আরবে গিয়ে ৪ বছর একটি কোম্পানীতে চাকুরী করে ৪৮ মাসের মধ্যে ১৩ মাসের বেতন পান এবং কোম্পানি ১৯ হাজার ৫’শ রিয়াল বকেয়া রাখে। এ ঘটনায় বিপুল তার উপার্জিত অর্থ ফেরত পেতে আদালতে মামলা করে। আদালত বিপুলের পক্ষে রায় দেয়। কিন্তু বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা যোগসাজশ করে টাকা পরিশোধ না করে আদালতের মাধ্যমে তা ঝুলিয়ে রাখে এবং বিপুলকে দেশে ফেরত আসতে বাধ্য করে। তিনি কুয়েত ও সৌদি আরব দূতাবাসের কর্মকর্তাদের প্রতারণার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়াসহ তার অর্থ ফেরত আনতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ দেশের সরকার প্রধানের সহযোগিতা কামনা করেছেন।