চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সেস কোয়ার্টারে চুরির ঘটনায় তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে বাধা দিয়েছেন ইউসুফ আলী (৩৩) নামে এক বহিরাগত ব্যক্তি। এ সময় ওই ব্যক্তি সাংবাদিকদের হুমকিও দিয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সেস কোয়ার্টারে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে- নার্সেস কোয়ার্টারে চুরি ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করতে যান একাত্তর টেলিভিশন ও দৈনিক সমকাল পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি এ কে এস রোকনসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক। এ সময় নীচ তলায় বসবাসকারি নার্স ফরিদা বেগম ও তার স্বামী ইউসুফ আলী তথ্য সংগ্রহে সাংবাদিকদের বাধা দেন।
এক পর্যায়ে প্রাণ নাশের হুমকি সহ বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়েছেন তারা। এতে উপজেলার সাংবাদিক মহল তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নিরাপত্তা চেয়ে শিবগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সাংবাদিক একেএস রোকন।
জানা যায়, সোমবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স সাকেরা বেগম ও মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট মনিরুল ইসলাম দম্পতির বাসায় ৩৬ ভরি স্বর্ণাংলকার চুরির ঘটনা পর সিনিয়র সাংবাদিক এ কে এস রোকন সহ কয়েকজন সাংবাদিক তথ্য নিতে গেলে নার্সেস কোয়ার্টারের নীচ তলা বসবাসকারী বহিরাগত আব্দুল মতিনের ছেলে ইউসুফ আলী আপনারা হলুদ সাংবাদিক বলে আখ্যায়িত করেন।
এতে সাংবাদিক সমাজকে হেয়প্রতিপন্ন করায় তীব্র ক্ষোভ সঞ্চার হয়েছে স্থানীয় সাংবাদিক মহলে। তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ইউসুফ আলী শিবগঞ্জ পৌর এলাকার দেওয়ান জাইগীর গ্রামের ধুইনাপাড়ার আব্দুল মতিনের ছেলে। তিনি স্থানীয় হওয়ায় দাপট দেখিয়ে হাসপাতালের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারিদের হুমকি দিয়ে নিজের কাজ হাসিল করে।
এব্যাপারে সিনিয়র সাংবাদিক একেএস রোকন বলেন, ভুক্তভোগীর ফোন পেয়ে আমিসহ কয়েকজন সাংবাদিক ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ইউসুফ আলী তথ্য দিতে বাধা দেয়। এক পর্যায়ে তাকে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে মারমুখী আচরণ করেন। এ সময় আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়রা খান বলেন, আপনারা শান্ত থাকেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এ বিষয়ে শিবগঞ্জ থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ভূল বোঝাবুঝির কারণে এমনটি হয়ে থাকতে পারে। তারপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।