মনিরুজ্জামান খান গাইবান্ধা:
গাইবান্ধায় ৩ সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলায় জামিন পেলেন রিয়ন ইসলাম( রকি), বাকি দুজন উচ্চ আদালতের দারস্থ হয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে থেকে জানা গেছে। বালু উত্তলনের নিউজের জের ধরে এই মামলাটি করেন ওই চক্রের একজন, সদর উপজেলার কামারজানির যমুনা নদীতে একদল সংঘবদ্ধ চক্র নদী থেকে বালু তুলে অবাধে বিক্রি করে আসছে । এতে করে ওই এলাকার ফসলি জমি, বাঁধ ঘেঁষে ইউনিয়ন পরিষদ, ভূমি অফিস,বাড়ি ঘর,রাস্তা, মসজিদ,মাদ্রাসা,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান,বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা হুমকির মুখে পড়ে।
এই সংঘবদ্ধ চক্রটির বিরুদ্ধে গত (১৭ ফেব্রুয়ারী) স্যাটেলাইট টেলিভিশন আনন্দ টিভিতে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার হয়। সেই সাথে প্রিন্ট পত্রিকা, অনলাইন পোর্টালসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সেই সংবাদের সূত্র ধরে কামারজানি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা খন্দকার আজিজুর রহমান বাদী হয়ে গত (২৫ ফেব্রুয়ারি) এই চক্রের রানা ও সাইফুলসহ ১২ থেকে ১৫ জন অজ্ঞাত বালু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে গাইবান্ধা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ ছাড়াও অবৈধভাবে বালু তোলার কারণে সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা হয় কয়েক দফায় তাতে জরিমানা গুনতে হয় প্রায় ১৬ লাখ টাকা,
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই সংঘবদ্ধ চক্রটির সদস্য মো.জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ছিনতাই ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে বালু ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম চলতি বছরের মার্চ মাসের ২৮ তারিখে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
কিন্তু নিউজ প্রচারের দুই মাস পর চলতি মাসের (২৪ এপ্রিল)গাইবান্ধা সদর থানায় একটি চাঁদাবাজি মামলা রেকর্ডভুক্ত হয়।
আজ (২৮ এপ্রিল) গাইবান্ধা জেলা দায়রা জজ আদালতে জামিনের জন্য উপস্থিত হন একজন। পরে নিম্ন কোর্ট থেকে জামিনে মুক্তি পায় দৈনিক নাগরিক ভাবনার জেলা প্রতিনিধি রিয়ন ইসলাম (রকি) এই মামলার আইনজীবী ছিলেন এ্যাড.আহসানুল করিম (লাচু),
এ মামলার বাকি দু’জন উচ্চ আদালতে জামিনের জন্য দারস্থ হয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্রে থেকে জানা গেছে।
তাঁরা হলেন,গাইবান্ধা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও আনন্দ টিভির জেলা প্রতিনিধি ও ক্রাইম রিপোর্টার এসময়ের সাহসী সাংবাদিক মিলন খন্দকার ও তরুণ সাহসী সাংবাদিক দ্যা ডেইলি ট্রাইবুন্যালের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার জেলা প্রতিনিধি সুমন মিয়া,
সচেতন মহলও আইনজীবী বলেন সাংবাদিকরা হচ্ছেন সমাজের দর্পন, তারা উন্নয়নে বিশেষ ভুমিকা রাখে সেই সাথে অপরাধীদের মুখোশ সবার সামনে তুলে ধরে দেশের কল্যাণে অগ্রনী ভুমিকা পালন করে।
তা-ই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ যাচাই বাছাই না করেই মামলা রেকর্ডভুক্ত করা হচ্ছে। এ আইন স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী বলে মনে করেন আইনজীবী। সেই সাথে একটি গণতান্ত্রিক দেশে এ আইন বলবৎ থাকতে পারে না মন্তব্য আইনজীবীর।