মনিরুজ্জামান খান পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা): আগের মত নেই পাসপোর্ট অফিস,বদলে গেছে গাইবান্ধা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে বেড়েছে সেবার মান।

কোনো অভিযোগ নেই পাসপোর্ট করতে আসা মানুষগুলোর, নেই দালালের আনাগোনা, প্রতিটি কক্ষের ভেতরে-বাইরে বিরাজ করছে শান্ত-শৃঙ্খল পরিবেশ।

অফিসে সেবা নিতে আসা মানুষগুলো শান্ত ও সুশৃঙ্খলভাবে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে পাসপোর্টের জন্য ছবি ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিচ্ছেন। যথেষ্ট ধৈর্য্যর সঙ্গে তাদের সাপোর্ট এবং সেবা দিচ্ছেন অফিস কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি, এমনই চিত্র চোখে পড়ে গাইবান্ধা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের। অথচ গাইবান্ধা পাসপোর্ট অফিসের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ছিল ভুক্তভোগীদের।

পাসপোর্ট কার্যালয়ে দালালদের খপ্পরে পড়ে অতিরিক্ত অর্থ গুণতে হতো সাধারণ মানুষকে। ফরম পূরণ,পুলিশ ভেরিফিকেশন, মেশিনের সমস্যাসহ নানা অজুহাতে সরকারি খরচের বাইরেও অতিরিক্ত টাকা আদায় করতো দালালরা।

এসব কর্মকাণ্ডে অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দালালদের যোগসাজশের অভিযোগও ছিল ভুক্তভোগীদের। যা বরাবরই অস্বীকার করতো অফিস কর্তৃপক্ষ। তবে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ দালালদের সাথে পাসপোর্ট অফিসের কোন সম্পৃক্ততা পাইনি রংপুর দুদক কর্মকর্তা,

এর আগে গত (২৫ ফেব্রুয়ারি) রংপুর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট টিমের ছয় সদস্য এ অভিযান পরিচালনা করেন গাইবান্ধা পাসপোর্ট অফিসে সেই সময়ে ৩ দালাল কে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৭ দিনের কারাদন্ড দেয় দুদক। এরপর থেকেই গাইবান্ধা পাসপোর্ট অফিসের চিত্র একেবারেই পাল্টে যায় ।

গাইবান্ধা সদরের উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের উজ্জ্বল মিয়া জানান,মায়ের চিকিৎসা কারণে ইন্ডিয়া যাওয়ার জন্য তিনি পাসপোর্ট করেছেন। সরকারি খরচের বাইরে কাউকে কোনো টাকা দেননি বা কোনো টাকা দাবি করা হয়নি।

জেলার পলাশবাড়ী উপজেলা মনোহরপুর ইউনিয়নের তালুকঘোড়াবান্ধা গ্রামের বালুখোলা গ্রামের মজিবার রহমান ছেলে খোরশেদ বলেন, দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য কাগজ পত্র অফিসে যথারীতি ফরম জমা দেই। অফিস কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত তারিখ অনুযায়ী আমার ছবি ও ফিঙ্গার প্রিন্ট সম্পন্ন হয়েছে।

তিনি দালাল বা অফিস কর্তৃপক্ষের কারও কাছে কোথাও কোনো অনিয়ম বা হয়রানির শিকার হননি বলে জানান।

গাইবান্ধা আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক  সরবেশ আলী বলেন, পাসপোর্ট করতে এসে একজন ব্যক্তিও যেন হয়রানির শিকার না হন, তারা তাদের প্রাপ্য সেবা পান, সব সময় আমরা সে চেষ্টাই করি। সেবারমান নিশ্চিত করতেই আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

এরপরও দালালদের অপতৎপরতার অভিযোগ বিভিন্ন সময়ে আমরা পেয়েছি কিন্তু তাদের চিহ্নিত করতে না পারায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হয়নি। তবে অফিস দালালমুক্ত রাখতে সব সময় সজাগ দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version