মোঃ মহিবুল ইসলাম, বরগুনা জেলা প্রতিনিধি:
‘করবো বন সুরক্ষা, উপকূল হবে রক্ষা, করবো বন সংরক্ষণ, সুস্থ থাকবো সারাক্ষণ, করলে বন সুরক্ষা, উপকূল হবে রক্ষা’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক বন দিবস পালিত হয়েছে। ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) পাথরঘাটা উপকূলের রক্ষাকবজ বন, বনাঞ্চল, বন বিভাগকে আধুনিকায়ন-লোকবল বৃদ্ধিসহ বন ধ্বংস বন্ধের দাবিতে র্যালি, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বন বিভাগের সামনে পাথরঘাটা কাকচিড়া সড়কে মানববন্ধন করা হয়। এ সময় বক্তব্য রাখেন, পাথরঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, সদর বিট অফিসার জিয়াউল ইসলাম, সংকল্প ট্রাস্টের পরিচালক আব্দুর রহিম, পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন, বাংলাদেশ বন্ধু ফাউন্ডেশনের মো. মামুন, স্বপ্নযাত্রী একতা ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক, মোঃ রেজাউল ইসলাম, জাকির মুন্সি, মো. নয়ন প্রমুখ। বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, পাথরঘাটায় বর্তমানে সরকারের বেশ কয়েকটি প্রকল্প চলমান তার মধ্যে ৫০ হাজার গাছের চারা রোপণ করা হবে এ বছরের মধ্যে। তিনি আরও বলেন, পাথরঘাটায় যে বনভূমি, বনাঞ্চল বা বন রয়েছে তাতে যে লোকবল দরকার তা নেই। লোকবল দরকার ৪৫ থেকে ৫০ জন, রয়েছে মাত্র ১৭ জন। বন ধ্বংসকারীদের মামলা দিলে উল্টো বন বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা, মানববন্ধন করে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় গুটি কয়েক বনদস্যু বলে দাবি করেন তিনি।সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, উপকূলের রক্ষাকবজ বন, আর সেই বন আস্তে আস্তে ধংস করা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে বন উজাড় তো হবেই পাশাপাশি উপকূল বিলীন হয়ে যাবে। উপকূলীয় অঞ্চলে বন রক্ষার জন্য সম্মিলিত পদক্ষেপ নেয়া দরকার। তিনি আরও বলেন, বনের প্রয়োজনীয়তা, বনের সুফল বুঝাতে স্থানীয় পর্যায়ে সেমিনার, উঠান বৈঠকের মাধ্যমে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে জনমত তৈরি করার বিকল্প নেই। তাছাড়া বনকে টেকসই করতে বেড়িবাঁধও টেকসই করার বিকল্প নেই। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রোকনুজ্জামান খান বলেন, বন যে শুধু উপকূল রক্ষা করে শুধু তাই নয়, মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসেও গাছ দরকার। এ জন্য সকলকে এগিয়ে আসতে হবে বন রক্ষার জন্য। পাথরঘাটা উপজেলা প্রশাসন এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে আছে।