সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত পাঁচজন হলেন উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের পশ্চিম ঠাকুরের মাটি এলাকার (ঠাকুরের মাটি) সন্তোষ পাত্রের স্ত্রী মঙ্গলী পাত্র (৫৫), একই গ্রামের নন্দ পাত্রের স্ত্রী সাবিত্রী পাত্র (৩৫), পুশ পাত্রের স্ত্রী সুচিতা পাত্র (৩৫), সুভেন্দ্র পাত্রের মেয়ে ঋতু পাত্র (৮) ও সুচিতা পাত্রের ছয়মাস বয়সী কন্যাশিশু বিজলী।  আহতরা হলেন মৃত নিপেন্ত্র পাত্রের স্ত্রী শ্যামলা পাত্র (৫৫), সুভেন্দ্র পাত্রের স্ত্রী প্রণতি পাত্র (৩৫) কুষ পাত্র (৪০) ও তার দুই ছেলে এবং লেগুনাচালক।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লেগুনাটি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে আসা মাত্র বিপরীত দিক থেকে আসা পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে নারী শিশুসহ একই পরিবারের ১০ জন আহত হন। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুইজনের মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), ওসি (তদন্ত), তামাবিল হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ, জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম লিয়াকত আলী, ৪ নম্বর দরবস্ত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বাহারুল আলম বাহার ও যুবলীগ নেতা কুতুব আলী।

স্থানীয়রা জানান, হতাহতরা একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।

দুর্ঘটনার পর শুরুতে স্থানীয় জনতা সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে প্রশাসন ও স্থানীয় নেতাদের আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করা হয়।

জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, হতাহতরা সবাই সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের পশ্চিম ঠাকুরের মাটি এলাকার বাসিন্দা। দুর্ঘটনার পর পিকআপ ভ্যান রেখে চালক পালিয়েছেন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version