ডা.এম.এ.মান্নান
নাগরপুর (টাঙ্গাইল)সংবাদদাতা:
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে সম্প্রসারিত হচ্ছে পেঁয়াজ চাষ, কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক। পেঁয়াজের ঘাটতি পুরনের লক্ষে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় কৃষি বিভাগের প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের বিনামুল্যে দেয়া হয়েছে পেঁয়াজের বীজ, সারসহ কৃষি প্রনোদনা। আবহাওয়া অনুকুল থাকায় পেঁয়াজের ফলনও হয়েছে ভালো। কিছু কৃষক (মিশ্র ফসল) আখ খেতে পেয়াজের আবাদ করে লাভবানের আশা করছেন। এতে খুশি কৃষক ও কৃষি বিভাগ। সফলতা দেখে অনেক কৃষক আগামীতে পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। বাংলাদেশের নিত্য প্রয়োজনীয় একটি মসলা ফসল পেঁয়াজ। দেশের প্রায় সব অঞ্চলেই কমবেশী পেঁয়াজের চাষ হয়। উপজেলার কিছু কৃষক আখ খেতে ফাকা জায়গায় পেয়াজ আবাদ করে বাড়তি লাভের আশা করছেন। কৃষকেরা এভাবে যদি একি জমিতে আখ ও পেয়াজ আবাদ করে তাহলে পেয়াজের ঘাটতি কমে আসবে বলে আশা করেন কৃষকেরা। জলবায়ুর পরিবর্তন, বৈরী আবহাওয়া এবং বিভিন্ন রোগ ও পোকার আক্রমণের কারণে দেশে পেঁয়াজের ফলন কম। একারনে দেশের চাহিদা মেটাতে প্রতিবছর বিপুল পরিমান পেঁয়াজ বিদেশ থেকে আমদানী করতে হয়। রফতানী কারক দেশগুলোতে পেয়াজের সংকট দেখা দিলে এর প্রভার পরে দেশের পেঁয়াজের বাজারে। হু হু করে বেড়ে যায় পেঁয়াজের দাম। দেশের পেঁয়াজের ঘাটতি পুরনের লক্ষে কৃষি বিভাগ দেশেই বেশী পরিমানে পেয়াঁজ চাষের উদ্যোগ নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মৌসুমে প্রকল্পের মাধ্যমে প্রনোদনা কর্মসুচীর আওতায় কৃষকদের পেঁয়াজ উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন উপকরন দেয়া হয়েছে বিনামুল্যে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের সার্বক্ষনিক পরামর্শ ও অনুকুল আবহাওয়া থাকায় পেঁয়াজের ফলন হয়েছে ভালো। ভালো ফলন দেখে কৃষকদের চোখেমুখে খুশীর ঝিলিক। বর্তমানে দেশের পেঁয়াজের বাজার দর ভালো থাকায় আগামীতে আরো বেশী জমিতে পেঁয়াজ চাষের কথা জানিয়েছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন শাকিল বলেন, এবার ১২ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। আগামীতে পেঁয়াজ চাষে আরো সফলতা আসবে বলে আশা প্রকাশ করছে কৃষি বিভাগ। দেশের সবর্ত্র যদি পেঁয়াজ চাষ ও পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনের পরিমান বাড়িয়ে দেয়া যায় তবে দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি পুরনে ব্যাপক ভুমিকা রাখবে এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্ঠরা।