লিমন সরকার (ঠাকুরগাঁও) জেলা প্রতিনিধি ঃ ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দু গ্রুপের মধ্যে মারপিটের ঘটনায় তুহিন নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী সহ ৪ খেলোয়াড় আহত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যার আগ মুহুর্তে পৌর শহরের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে (শান্তিবাগ) ভাষা শহীদের স্মরণে টি-টোয়েন্টি গোল্ডকাপ ক্রিকেট টুনার্মেন্টের সেমিফাইনাল খেলা শেষে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহতরা হলেন কাউসার, নিলয় ও মুন্না। তাদের সকলের বাড়ি পৌর শহরের রঘুনাথপুর মহল্লায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পীরগঞ্জ পশ্চিম চৌরাস্তা ক্রীড়া একাদশ এর আয়োজনে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে (শান্তিবাগ) ভাষা শহীদের স্মরণে পৌর ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি গোল্ডকাপ ক্রিকেট টুনার্মেন্টের সেমিফাইনাল খেলা বুধবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডকে দলকে হারিয়ে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড দল জয়লাভ করে। খেলা শেষে ৩নং ওয়ার্ডের কয়েকজন সমর্থক ও খেলোয়াড় মাঠেই উল্লাস করলে অপর পক্ষ ক্ষিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে ৩নং ওয়ার্ড দলের খেলোয়াড় ও এসএসসি পরীক্ষার্থী তুহিনের মাথা ফেটে যায় এবং অধিনায়ক সহ ৪ খেলোয়াড় আহত হয়। এ সময় ভাংচুর করা হয় কয়েকটি প্লাষ্টিকের চেয়ারও। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। দলীয় অধিনায়ক কাউসারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হলেও অন্য তিনজনকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। পীরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড ক্রিকেট দলের অধিনায়ক কাউসারের অভিযোগ, ক্রিকেট টুনার্মেন্টের আয়োজক কমিটির সভাপতি ও পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড দলের খেলোয়াড় তানভির রহমান মিঠু’র দল হেরে যাওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে অন্যদের দিয়ে মারপিটের সুত্রপাত করেন এবং তিনি নিজেও আমার দলের খেলোয়াড়দের মারার জন্য তেড়ে আসেন। আয়োজকদের কাছ থেকে এ ধরণের ঘটনা ও আচরণ আমরা আশা করিনি।
এ বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আব্দুর রহমান সোহান জানান, একজনের মাথায় দুই জায়গায় সেলাই করা হয়েছে। বাকি দুইজনের তেমন কাটা ছেড়া পাওয়া যায়নি। তবে তারা আশংকা মুক্ত।
অভিযোগ অস্বীকার করে আয়োজক কমিটির সভাপতি ও পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড দলের খেলোয়াড় তানভির রহমান মিঠু বলেন, ৩নং ওয়ার্ডের খেলোয়াড়র সহ তাদের কিছু সমর্থক উৎশৃঙ্খল আচরণ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তারা আমার বড় ভাইকে ধাক্কাধাক্কি করা সহ আয়োজক কমিটি ও আমার দলের কয়েকজন খেলোয়াড় কে মারপিট করে সেই সাথে বেশ কয়েকটি প্লাষ্টিকের চেয়ার ভাংচুর করে। এ গুলোর ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে রয়েছে। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে উল্টো তারাই নাকি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ওসি খায়রুল আনাম বলেন, ক্রিকেট খেলা শেষে মারামারির খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। সেখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ বিষয়ে থানায় এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version