সোহাগ ইসলাম নীলফামারী:

নীলফামারীতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নীলফামারী সার্কেল মোস্তফা মঞ্জুরের দিকনির্দেশনায় এস আই মুক্তারুল আলমের অক্লান্ত পরিশ্রমে চঞ্চল্যকর মামলার আসামিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে নীলফামারী সদর থানা পুলিশ।

গত বছর রবিবার ৭ জুলাই ২০২৩ রাত আনুমানিক সাড়ে বারোটায় শারমিন বেগম (২৫) নামে এক নারীর সড়ক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

ঘটনা সূত্রে জানা যায় সন্তানসম্ভবা শারমিন বেগম (২৫) ও মেয়ে সহ তার বাবার বাড়ি ডোমার থানা থেকে সিএনজি যোগে স্বামীর বাড়ি সৈয়দপুরে যাওয়ার পথে নীলফামারী সদর থানার শিমুলতলী নামক স্থানে পিছন দিক থেকে আসা একটি ঘাতক মাইক্রোবাস বেপরোয়া ভাবে সিএনজিকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে পড়ে যান শারমিন বেগম।

মাইক্রোবাসের সঙ্গে পেঁচিয়ে যায় তার পরনের কাপড় ঘাতক মাইক্রোবাসটি সন্তান সম্ভবা শারমিন বেগমকে টেনে হেচরে প্রায় দুই কিলোমিটার নিয়ে যায়।

মহাসড়কেই সন্তান প্রসব হয় শারমিন বেগমের। পরবর্তীতে ঘাতক মাইক্রোবাসটি শারমিন বেগমকে হেচরে নিয়ে পোড়ার হাট গামী পাকা রাস্তার উপরে ফেলে পালিয়ে যায়। টহলরত সৈয়দপুর থানা পুলিশ শারমিন বেগম ও তার নবজাতক শিশুকে সৈয়দপুর কূন্দল হাসপাতালে নিয়ে যায়, সেখানেই কর্তব্যরত চিকিৎসক মা ও তার নবজাতক শিশুকে মৃত ঘোষণা করে। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ খবর পেয়ে নীলফামারী সদর থানা পুলিশ এখানে উপস্থিত হয় এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নীলফামারী সদর থানায় একটি নিয়মিত মামলার রুজু হয়।

ঘাতক মাইক্রোবাস সম্পর্কে প্রত্যক্ষদর্শীরা সঠিক কোন তথ্য দিতে না পারলে বেগ পেতে হয় পুলিশকে তবুও হাল ছাড়েনি পুলিশ ঘটনা সাত মাস পেরিয়ে গেলেও বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে খুঁজতে থাকেন আসামি ও ঘাতক মাইক্রোবাসকে। এস আই মুক্তারুল আলমের অক্লান্ত পরিশ্রমে অবশেষে তথ্য প্রযুক্তি ও সোর্সের মাধ্যমে ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ঢাকা মেট্রো চ ১৩৮২৯৮ মাইক্রোবাস সহ ঘাতক চালক সোহেল রানা (৩২) কে সৈয়দপুর থানার কাজীপাড়া থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখ আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠায় পুলিশ, আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি (সিআরপিসি ১৬৮ ধারা) প্রদান করে সোহেল রানা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version