মনিরুজ্জামান খান গাইবান্ধা: গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন প্রাণীর রোগ নির্ণয় ও গবেষণার জন্য ১৯৮১ সালে গাইবান্ধায় স্থাপন করা হয় আঞ্চলিক প্রাণীরোগ অনুসন্ধান ও গবেষণাগার। তবে জনবল সংকটে দীর্ঘদিন ধরে মুখ থুবড়ে পড়েছে গাইবান্ধাসহ ৫ জেলার মানুষের , রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার একমাত্র আঞ্চলিক এ গবেষণাগারটি।

ময়নাতদন্তসহ অফিসের দাপ্তরিক সব কাজ একাই সামলান এমএলএসএস পদে থাকা আকতার হোসেন। কষ্ট হলেও তাকে কাজ করতে হয়।নিয়োগ না থাকায় জনবল সংকটে এই অফিস।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে উত্তরের পাঁচ জেলার বিভিন্ন প্রাণীর রোগ নির্ণয়ে আঞ্চলিক প্রাণিরোগ অনুসন্ধান ও গবেষণাগারটি ব্যবহার হলেও ২০২১ সাল থেকে জনবলের অভাবে ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবাপ্রত্যাশীরা। কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে হয়।সেই সাথে প্রতিদিন হয়রানির শিকার হচ্ছেন পাঁচ জেলার মানুষ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গবেষণাগারটিতে একজন মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, একজন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, একজন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, পাঁচজন টেকনিশিয়ান, একজন হিসাবরক্ষক, সুইপার, এমএলএসএসসহ ১১ জনের পদ থাকলেও একজন এমএলএসএস ছাড়া নেই কোনো কর্মকর্তা-কমচারী। একজন এমএলএসএস দিয়েই চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষাসহ গোটা অফিসের কার্যক্রম। ব্যবহার না হওয়ায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ল্যাবের দামি যন্ত্রপাতি।

সরেজমিন দেখা যায়, গাইবান্ধা আঞ্চলিক প্রাণিরোগ অনুসন্ধান ও গবেষণাগারের এমএলএসএস আকতার হোসেন একাই ল্যাবে কখনো রক্ত বা মলমূত্র পরীক্ষা করছেন, আবার কখনো বসছেন রোগ নিয়ে গবেষণায়। ময়নাতদন্তসহ অফিসের দাপ্তরিক সব কাজ একাই সামলাচ্ছেন তিনি।

খামারিরা জানান, জনবলের অভাবে বিভিন্ন এলাকা থেকে খামারিরা এসে প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। বাইরে চিকিৎসা ও পরীক্ষা করাতে গিয়ে তাদের অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে।

গাইবান্ধা আঞ্চলিক প্রাণিরোগ অনুসন্ধান ও গবেষণাগারের এমএলএসএস আকতার হোসেন বলেন, প্রায় তিন বছর ধরে অফিসটি জনবল শূন্য। কর্মকর্তাদের কাজ দেখে শিখে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এখন নিজেই এসব কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন পাঁচ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে পশু-পাখির বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে মানুষজন এখানে আসেন। বাধ্য হয়েই তাদের আমাকে সেবা দিতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ কমকর্তা ডা. মাহফুজার রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আশা করি, দ্রুত জনবল সমস্যার সমাধান হবে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version