জেলা প্রতিনিধি, নড়াইল:

নড়াইলের লোহাগড়ায় রিক্তা বেগম (১৯) নামে এক গৃহবধুকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী নূর নবী শেখ (২১) ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধুর মা বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে লোহাগড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ভুক্তভোগী ওই গৃহবধু উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের শেখপাড়া বাতাসী গ্রামের এরশাদ শেখের মেয়ে।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধায় অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন লোহাগড়া থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. ছদরুল।

অভিযুক্তরা হলেন, গৃহবধুর স্বামী নুরনবী শেখ, তার পিতা নুর মিয়া শেখ ও নুর মিয়া শেখের স্ত্রী নুপুর বেগম।

গত সোমবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে লোহাগড়া উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর পরেরদিন মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ভুক্তভোগী গৃহবধুর পিতা মাতা খবর পেয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশের সহোযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

ভুক্তভোগী ওই গৃহবধু জানান, গত এক বছর পূর্বে উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের নুর মিয়া শেখের ছেলে নুর নবীর সাথে বিবাহ হয়। গত ৩ মাস আগে আগে আমি জানতে পারি আমি সন্তান সম্ভাবা। বিবাহের পর থেকে আমার স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন বিভিন্ন সময় আমাকে যৌতুকের দাবিতে শারীরিক নির্যাতন করে আসছে। পরে গত সোমবার বিকেল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত যৌতুকের দাবীতে হাত পা-বেধে বেধড়ক মারধর করে আমার স্বামী ও তার পরিবার। পরে আমার পিতা মাতা জানতে পেরে লোহাগড়া থানা পুলিশের সহোযোগিতায় আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ভুক্তভোগী গৃহবধুর মা ঝুমুর বেগম জানান, বিয়ের পর থেকে আমার মেয়েকে বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবিতে মারধর করে আমার জামাই নুর নবী তার বাবা নুর মিয়া ও তার মা নুপুর। সোমবার ও একই ভাবে আমার মেয়েকে বেধে রেখে মারধর করে পরে মঙ্গলবার খবর পেয়ে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে আমার মেয়েকে উদ্ধার করে লোহাগাড়া হাসপাতালে ভর্তি করি। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত নুরনবী শেখ মারধরের কথা স্বিকার করলেও বেধে রেখে নির্যাতন ও যৌতুক দাবির কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন তার স্ত্রীর অন্য ছেলের সাথে অবৈধ সম্পর্ক আছে এবং তার স্ত্রীরর গর্ভে যে সন্তান আছে তা আমার না।

এসিকে অভিযুক্ত শাশুড়ী নুপুর বেগম মারধরের কথা স্বিকার করলেও বেধে রেখে নির্যাতন ও যৌতুক দাবীর কথা অস্বীকার করেন।

লোহাগড়া থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ছদরুল বলেন, খবর পেয়ে ওই গৃহবধুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি।

এ ব্যপারে লোহাগড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version