জাপান সাগরের নোটো অঞ্চলে সোমবার রাতে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেই ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩০ জনে দাঁড়িয়েছে। একদিনে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে ১৫৫ বার। ভূমিকম্পে বহু ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া বিধ্বস্ত ঘরবাড়ির ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়ে আছেন অনেকেই। বাড়তে পারে মৃতের সংখ্যা।

মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার ভূমিকম্পের পরপরই ইশিকাওয়া প্রিফেকচারের ওয়াজিমা শহরে ১ দশমিক ২ মিটার উচ্চতার সুনামি আঘাত হানে। এতে অনেক ভবন ধসে পড়ে এবং রাস্তায় ফাটল সৃষ্টি হয়।

উপকূলীয় বাসিন্দা ৭৩ বছর বয়সি সুগুমাসা মিহারা এএফপিকে বলেন, ভয়ানক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে আমাদের নতুন বছরটা শুরু হলো। ভূমিকম্পের ঝাঁকুনি ছিল তীব্র।

প্রাথমিকভাবে জাপান পুলিশ ছয়জন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছিল। তবে কিয়োডো নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, ওয়াজিমা বন্দরে সাতজনসহ এখন পর্যন্ত ৩০ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

ভূমিকম্পের পরপরই জরুরি বৈঠক করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। বৈঠকের পর তিনি বলেন, অসংখ্য হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। হাজার হাজার ঘরবাড়ি বিধ্স্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দল উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। তবে অনেক রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেনাবাহিনীর উদ্ধারকারী দলের দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বেগ পেতে হচ্ছে।

এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্প ও সুনামির পর উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ৪৫ হাজার পরিবার বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। তীব্র শীতে ভীষণ কষ্টে সময় পার করছেন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার নতুন বছরের শুরুতে সমুদ্র তীরে রাত কাটানোর হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। পরে ভূমিকম্প আঘাত হানলে তাদের উঁচু স্থানে সরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয় এবং সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।

তবে জাপানের পাবলিক ব্রডকাস্টার এনএইচকে জানিয়েছে, ইতোমধ্যে সুনামি সতর্কতা প্রত্যাহার করে নিয়েছে জাপানের আবহাওয়া সংস্থা।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version