আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংঘাতের আশঙ্কা সব সময় থাকেই। তবে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অব্যাহত থাকবে। যারাই নির্বাচনের পরিবেশ দূষিত করবে, সংঘাতে জড়াবে, তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

নির্বাচনে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে, তাদের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা—এটা তো যুক্তরাষ্ট্রের বহুল প্রচারিত ঘোষণা। এনডিআইসহ যে পাঁচ মার্কিন প্রতিনিধি এখন বাংলাদেশে আছেন, এ বিষয়ে তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিএনপি লিফলেট বিতরণ করবে কেন? অসহযোগ করবে কেন? আসলে নির্বাচনের বিরুদ্ধে শান্তির প্রোগ্রাম হয় না। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতেই বিএনপির এই প্রোগ্রাম।

সিপিডির গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, গত ১৫ বছরে ৯২ হাজার কোটি টাকা অর্থনৈতিক খাতে লুটপাট হয়েছে। গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়, এ বিষয়ে ক্ষমতাসীন দলের অবস্থান কী?

জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার জবাবে একটাই, এই ৯২ হাজার কোটি টাকা কোথায় গেল, সেটা একটু জানতে চাই। এই টাকাগুলো কোথায় আছে? সন্ধান দিলে তখন আমরা জবাব দেব। আমাদের জানা নেই।

‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা আর মামুদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হচ্ছে’— সুজন সম্পাদকের এমন বক্তব্যের জেরে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা আগেই বলেছি— ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজেও বলেছি যে, বদিউল আলম সাহেব বিএনপির একজন খাস দালাল। কাজেই বিএনপির রিজভী যা বলে, বদিউল আলমও তাই বলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, উপদপ্তর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version