মো.ফখর উদ্দিন,আনোয়ারাঃ

শীতপ্রধান বিভিন্ন দেশ থেকে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় আসতে শুরু করেছে অতিথি পাখিরা। শীতের আমেজ যতই বাড়ছে ততই বেড়ে চলেছে পাখির আগমন। প্রতিবছর শীতে হাজার হাজার অতিথি পাখির অভয়ারণ্য হয়ে ওঠে আনোয়ারা উপজেলার ঐতিহাসিক কেইপিজেট লেক ও মেরিন একাডেমিসহ প্রতিটি জনপদ। বিশেষ করে উত্তর বন্দর গ্রামের চাঁন সাওদাগরের দিঘি ও কোরিয়ান ইপিজেড লেকে বসে পাখির মেলা।ভোরে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে এখানে দলে দলে আসতে শুরু করে অতিথি পাখিরা। মনের আনন্দে সারা দিন খেলা করে দিঘির পানিতে। কিচির-মিচির ডাকে মুখর হয় চার পাশ। সূর্য ডোবার পর পরই দিঘি থেকে চলে গিয়ে গ্রামের গাছপালায় রাত কাটায়। সকালে আবারও দলবেঁধে চলে আসে এখানে।
শীতপ্রধান দেশগুলোতে এ সময় প্রচণ্ড শীতে তুষারপাত হয়। ফলে খাদ্য সংকটে পড়ে পাখিরা। খাদ্যের সন্ধানে এসব পাখি বাংলাদেশে চলে আসে।

গতকাল শুক্রবার বিকালে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, আনোয়ারার উপকূলীয় রায়পুর বার আউলিয়া, পরুয়াপাড়া বাতিঘর, বৈরাগ,গহিরা, পারকি সমুদ্র সৈকত, কোরিয়ান ইপিজেড, মেরিন একাডেমির ম্যানগ্রোভে, সিইউএফএলসহ এসব এলাকায় নানা পাখ-পাখালির মধুময় কলতান। প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠছে জীববৈচিত্র সমৃদ্ধ এসব এলাকা। শীত ছাড়া অন্য মৌসুমে হরেকরকম পাখিগুলো কলকাকলিতে সরব থাকলেও শীতে যেন নতুন প্রাণ পায় এ অঞ্চলের পাখিরা।পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এ শীতে আসা অতিথি পাখির মধ্যে দেখা গেছে কুন্তি হাঁস, জিরিয়া হাঁস, পাতারি হাঁস, রাজ হাঁস, নীলশির, কানি বক, ধূসর বক, সাদা বক, জল ময়ূর, ডুবুরি, পানকৌড়ি, গঙ্গা কবুতর, দলপিপি, কাস্তেচড়া, রাজসরালি, ঈগলসহ নাম না জানা অসংখ্য পাখি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মুছা তালুকদার জানান, এসব পাখি আমাদের মনে আনন্দ দেয়। এরকম পাখি আর কোথাও দেখা যায় না। এরা এখানে অনেক নিরাপদে আছে। বিশেষ করে কোরিয়ান ইপিজেড পাখির একটি অন্যতম নিরাপদ আবাসস্থল হিসাবে গড়ে উঠেছে। এখানে পাখি দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসেন শত শত মানুষ।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version